সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সংস্কৃতিকে প্রসারিত করতে পারে এবং আপনার ব্যবসাকে একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। তারপরও বিশৃঙ্খলা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (সোশ্যাল মিডিয়া) নীতিমালা থাকা দরকার। আর এ নীতিমালা তৈরিতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২০১৯ সালের জুনে ‘ডিজিটাল আত্মনির্ভরতার যুগ’ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, নতুন নতুন ধারণা এবং সংবাদ পাওয়ার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের প্রথম পছন্দ হতে চলেছে। বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৪০ শতাংশ লোক এখন সক্রিয়ভাবে ডিজিটাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। দ্রুত ব্যবসায় উন্নতি করতে ডিজিটাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সংস্থাকে উপকৃত করতে পারে, যদি এটি সঠিক পথে পরিচালিত হয়। এটি আপনার সংস্থার ও সংস্কৃতির উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-যেমন ফেসবুকের মাধ্যমে কর্মস্থলে কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। একটি সম্মিলিত সংস্কৃতি তৈরিতে ফেসবুক ভূমিকা রাখছে। ফেসবুক একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করার এক দুর্দান্ত উপায়। নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে সহজেই সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ছবি পাওয়া যায়, অনলাইনেই অন্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা যায়। নতুন সহকর্মীরা কে কোথায় কী করেন এবং তারা কোথায় রয়েছেন, সবই সন্ধান করা যায়।
প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং পরিচালকরা নিয়মিত আপডেটেড তথ্য আদান-প্রদান এবং সুসংবাদ ভাগ করে নিতে কর্মীদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার জন্য এ জাতীয় নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করতে পারেন। মাসে মাসে সব কর্মীর সঙ্গে সভা করার চেয়ে অনলাইনে ঘন ঘন যোগাযোগ রক্ষা বেশি কার্যকর। আর এতে ঝঞ্ঝাটও কম, যোগ করেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন, যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে কোনো স্থানে এবং যে কোনো ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়, তাই কর্মীরা যে কোনো জায়গা থেকেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। এর ফলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে, প্রকল্পগুলো ট্র্যাকিংয়ে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
ডিজিটাল মিডিয়া ভবিষ্যতের একটি জানালা খুলে দেয়। বাইরের সামাজিক মিডিয়া আচরণ পর্যবেক্ষণ এবং কর্মী নিয়োগে আপনার ভবিষ্যতের প্রবণতা ও সুযোগগুলো সম্পর্কে সর্বদা সচেতন বা নিশ্চিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান, বিআইপিএসএসের উপদেষ্টা হামিদুজ্জামান, বিআইপিএসএসের রিসার্চ ফেলো মো. শাফকাত মুনির, কনরাড অ্যাডনয়ার স্টিফটংয়ের পলিটিক্যাল ডায়ালগ এশিয়া রিজিওনাল প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. লা তোয়া ওয়াহা ছাড়াও বিআইপিএসএস ও কনরাড অ্যাডনয়ার স্টিফটংয়ের যৌথ এ আয়োজনে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এটুআই প্রকল্প ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা।
এতে আরো অংশ নেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক এনামুল কবীর, এটুআই প্রকল্পের মানিক মাহমুদ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসান হাবিব, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের আলী মো. রাফসান, ইনটেলিজেন্স মেশিনস লিমিটেডের হেড অব প্রোডাক্ট আসিফ আল হাইসহ অনেকে।