ফেসবুকের বহুল প্রতীক্ষিত ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি লিব্রার ঘোষণার পর থেকেই গ্রাহকদের প্রাইভেসি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার (১৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কোষাধ্যক্ষের সাধারণ সম্পাদক স্টিভেন ম্যানিউচেন ফেসবুকের ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করেন।
ম্যানিউচেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, এই ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে অর্থ পাচার এবং জঙ্গি তৎপরতার অর্থায়নে ব্যবহৃত হতে পারে। যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ফেসবুকের এই ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
লিব্রার তত্ত্বাবধানে থাকা ডেভিড মার্কাস বলেন, সিনেট ব্যাংকিং কমিটির কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত ফেসবুক তাদের ডিজিটাল মুদ্রার কাজ শুরু করবে না।
ম্যানিউচেন বলে, ফেসবুককে লিব্রার কার্যক্রম শুরু করতে হলে আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের কাছে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে লিব্রার জন্য রেগুলেটরি কমিশনের কী রকম বিধি-নিষেধ থাকতে পারে এবিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারন্সি দিয়ে সাইবার অপরাধ, কর ফাঁকি, চাঁদাবাজি, মাদকজাতদ্রব্য কেনা এবং মানব পাচারের মতো কোটি কোটি ডলারের অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত হতে পারে। যা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়।’
গত সপ্তাহে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইট পোস্টে লেখেন তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির ভক্ত নন এবং এজন্য ফেসবুককে ব্যাকিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।
ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিভিন্ন মহলে গুরুতর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।
লিব্রা কি
ফেসবুকের নিজস্ব গ্লোবাল ডিজিটাল কারেন্সির লিব্রা। যা লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালনা করা হবে। এছাড়া ‘ক্যালিব্রা’ নামের একটি সাবসিডিয়ারি চালু করেছে, যা ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে কাজ করবে। যেখানে ব্যবহারকারীর ভার্চুয়াল মুদ্রা সংরক্ষণ, আদান-প্রদান ও খরচ করার সুবিধা থাকবে। ২০২০ সালের প্রথমার্ধেই নতুন এ মুদ্রা বাজারে চালু করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ফেসবুক।
সূত্র: বিবিসি