অনলাইনে প্রাইভেট মেসেজিংয়ের জন্য এবং ফাইল শেয়ারের জন্য বেশির ভাগ মানুষই বেছে নেন এনক্রিপটেড মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু আসলেই কি নিরাপদ এসব প্ল্যাটফর্ম?
সোমবার (১৫ জুলাই) সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা ফার্ম সিম্যানটেকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামে ইউজারদের ফাইল শেয়ারিংয়ে ঝুঁকি রয়েছে। এখানে হ্যাকাররা চাইলে শেয়ার করা ছবি এবং অডিও ফাইল বিকৃত করে দিতে পারে। যা গ্রাহকদের তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় ঝুঁকি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় প্ল্যাটফর্মে যে সিস্টেম্যাটিক ত্রুটি পাওয়া গেছে তাকে ‘মিডিয়া ফাইল জ্যাকিং’ বলা হচ্ছে। যা অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের হোয়াটসঅ্যাপে ‘বাই ডিফল্ট’ ভাবে আছে। অন্যদিকে টেলিগ্রামের যদি কিছু ফিচার সচল থাকে তাহলে এখানেও ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষকদের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফাইল অটোম্যাটিক ভাবেই ডাউনলোড হয়ে যায়। আর টেলিগ্রাম থেকে ফাইল সেভ করতে গেলে ফোনের ‘গ্যালারি’ অপশনটি উন্মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু এ দুই অ্যাপের কোনোটিতেই ইজারেদের তথ্য নিরাপত্তা স্বার্থে ‘প্রোটেকটেড’ কোনো ফাইল সেভিং অপশন নেই।
মিডিয়া ফাইল জ্যাকিং ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে এবং ফটো আদান-প্রদানে নজরদারি রাখে। এর ফলে হ্যাকাররা ইউজারদের অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, তথ্য বিকৃত এবং ফেক নিউজ ছড়ানোর মতো অপরাধ করতে পারে। যা সামাজিক এবং ব্যক্তি জীবনে একটি বড় বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসতে পারে।
গত মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপের সিস্টেমে বাগ বা ত্রুটি পাওয়া যায়। যা ইউজারদের কথোপকথনের সময় তাদের অজান্তেই সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। যা দিয়ে দূর থেকে বসেই অন্যের ফোনে আড়ি পাতা যায়।
তবে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামের মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপগুলো এসব সিস্টেমেটিক ত্রুটি সংশোধনে কাজ করছে। এজন্য তারা প্রায়ই তাদের নতুন আপডেট ভার্সনগুলো ইউজারদের ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।
গ্যাজেটস নাও অবলম্বনে