ফেসবুকের আওতাধীন ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামে ১৬ মিলিয়ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতের ইউজারদেরকে প্রভাবিত করা হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
মূলত অনলাইনে টার্গেট মার্কেটিংয়ের কৌশল হিসেবে তারা এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকদেরকে প্রভাবিত করছে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার এবং এঙ্গেজমেন্ট বাড়াতে তারা আর্টিফিশিয়াল বুস্টিং ‘ভ্যানিটি মেট্রিক্স’ ব্যবহার করছে।
সুইডিশ ভিত্তিক গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান হাইপঅডিটর সম্প্রতি বিশ্বের ৮২ টি দেশের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করেছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৯ মিলিয়ন, ব্রাজিলে ২৭ মিলিয়ন এবং ভারতে ১৬ মিলিয়ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে ভুয়া অ্যাকাউন্টের প্রভাবে বিজ্ঞাপনদাতাদেরকে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ গুনতে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই গোচ্চার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এ গুড কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রেস এঙ্কারলিড বলেন, ‘বর্তমান বাজারে টিকে থাকতে প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতাদের পেছনে টাকা ব্যয় করছেন। তারা ভাবছেন এর বিনিময়ে বিজ্ঞাপনদাতারা অনলাইনে ‘রিয়েল অ্যাকাউন্টের’ সঙ্গে এঙ্গেজমেন্ট তৈরি করছেন। কিন্তু এর বেশির ভাগই ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ‘ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’ নামের একটি গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়েছে। যারা ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া অ্যাকাউন্টের প্রভাব এবং অনলাইনে কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন দেওয়ার হিড়কি পড়ার কারণ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ এসব প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
প্রসঙ্গগত পরিসংখ্যান
ইনস্টাগ্রামে মাসিক ১০০ কোটি অ্যাক্টিভ ইউজার, ফেসবুকে ২.৩৮ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ ইউজার, প্রতিদিন ১৬ মিলিয়িন মানুষ টুইটারে লগ-ইন করছেন। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপে শুধুমাত্র ভারতেই ৩০০ মিলিয়ন ইউজার রয়েছেন।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও