সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরির অ্যাপ টিকটকের বিষয়টা টক-ঝাল-মিষ্টির মতো। কারণ বিনোদনের উদ্দেশে তৈরি করা এই অ্যাপ থেকে বর্তমানে সমাজে ক্ষতিকর কনটেন্টসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের দুজন সংসদ সদস্য টিকটকের বিরুদ্ধে ভারতের তথ্য চীনের পাচার, ফেক নিউজ এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।
ভারতের জনতা দলের সাংসদ পিনাকি মিশরা, তেলেগু দেশাম পার্টির জায়দেভ গাল্লা দেশটিতে টিকটকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সংসদে তুলে ধরেন।
পিনাকি মিশরা বলেন, ‘টিকটকের মত অ্যাপগুলো আমাদের দেশের তথ্য বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। যা দেশের জন্য একটি বড় হুমকি। গ্লোবালাইজেশনের কারণে বিশ্বের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। কিন্তু এর ফলে ভারতের জনগণের বা দেশের কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকারের উচিত এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে ‘তথ্য সুরক্ষা আইন’ প্রয়োগ করতে হবে।’
এর আগে চীনা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইট ড্যান্সের ‘টিকটক’ কীভাবে অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত এবং কেন দেশের জন্য হুমকি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে লিখিত চিঠির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বায়ত্ত্বক সংঘ, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ অভিযোগ জানিয়েছে।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী গাল্লা বলেন, ‘টিকটকের মতো অ্যাপগুলো ভারত এবং ভারতের গণতান্ত্রিকতার জন্য একটি হুমকি।’
অন্ধ্র প্রদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি গাল্লা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এখন তথ্যই হচ্ছে নতুন তেল। একটি দেশের তথ্যের ওপর নির্ভর করে দেশটির রাজনৈতিক, অর্থনীতি পরিস্থিতি। তাই যেসব দেশ যতো বেশি তথ্য বা ডেটা নিয়ন্ত্রণ করবে, তারা সেসব দেশগুলোকে তত বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
কংগ্রেসের সাংসদ শাশী থারুর বলেন, ‘টিকটক অবৈধভাবে আমাদের দেশের তথ্য সংগ্রহ করে চীনে পাচার করে দিচ্ছে।’
তবে এসব বিষয়ে টিকটক সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তারা জানায়, ভারতের তথ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট টিকটক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও