ভিডিও দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ইউটিউবে ক্ষতিকর কনটেন্ট বন্ধের উপর নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে। এরমধ্যে ইউটিউব থেকে হ্যাকিং শেখানোর কোনো ভিডিও রাখবে না বলে জানিয়েছে ইউটিউব।
সম্প্রতি ইউটিউবে ঠিক কিসের ভিত্তিতে হ্যাকিং শেখানোর ভিডিও সরানো হবে তার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম ছিল না। তবে হ্যাকিং সম্পৃক্ত কোনো ভিডিওতে যদি ভিউয়ার বা দর্শকরা রিপোর্ট করেন তাহলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তা মুছে দিবে।
কিন্তু নতুন নীতিমালায় ইউটিউব নিজ থেকেই মুছে দেবে ভিডিও এবং পরবর্তীতে কেউ আপলোড করতে চাইলেও তা আপলোড হবে না।
নিরাপত্তা গবেষক এবং প্রশিক্ষক কোডি কিনজি তার ইউটিউব চ্যানেলে হ্যাকিং সম্পর্কিত একটি ভিডিও আপলোড করতে চাইলে তা হয় না। পরবর্তীতে পুনরায় চেষ্টা করার পরও ভিডিওটি আপলোড হয়নি।
এ বিষয়ে কিনজি বলেন, ‘আমি শঙ্কিত যে মানুষ এখন শুধু ইনফরমেশন বা তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে তথ্য রক্ষা করবে তা বলছে না। আর হ্যাকিং বিষয় ভিডিও যদি এভাবে বন্ধ করে দেয় তাহলে বাইরে থেকে অনেক টাকা খরচ করে শিখতে হবে। ফলে এর ভাল-মন্দ যে একটা প্রভাব রয়েছে তা জানতে না পারলে মানুষের তথ্য অনিরাপদেই থেকে যাবে।’
এর আগে ইউটিউবে উগ্রতা, সহিংসতা এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চে মসজিদে হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও