সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে সহিংসতা, উগ্রবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ইসলাম ভীতি ছড়ানোর পেছনে ৪০০ এর অধিক বেশি মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।
সম্প্রতি ‘রিভিল’ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে আসে। এদের মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত আছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন কারাগার, বিমানবন্দর, স্কুল, বাস স্ট্যান্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্নস্থানে কর্মরত রয়েছেন। যারা ফেসবুক গ্রুপে জাতিগত বৈষম্য, ঘৃণাবাচক মন্তব্য এবং উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ সম্পর্কিত কনটেন্ট শেয়ার করে।
তাদের পরিচালিত গ্রুপগুলো সরাসরি সরকার বিরোধী, নারী বিদ্বেষ, ইসলাম ভীতি, ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মিম তৈরি করে প্রকাশ করছে। এরমধ্যে ১৫০ জন পুলিশ কর্মকর্তা সরকার বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং গ্রুপগুলোতে বিভিন্ন রকম প্রচারণা চালায়।
তবে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ৫০টি বিভাগ অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানী কমিটি গঠন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব বিভাগগুলো খতিয়ে দেখবে আসলেই কী এসব কর্মকাণ্ডে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত আছেন কিনা।
এদিকে রিভিলের প্রতিবেদন অনুসারে ইতোমধ্যে প্রশাসনিক নীতিমালা লঙ্ঘন করায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির প্রশাসন বিভাগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিচালিত এসব গ্রুপ ‘ক্লোজড’ আছে যেখানে শুধু গ্রুপের সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে কনটেন্টগুলো শেয়ার করতে পারে এবং এখানে অন্যদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার চাপমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পিটার সিমি বলেন, ‘পক্ষপাতমূলক লাইক, কমেন্ট এবং বিদ্বেষমূলক পোস্টগুলো দেখেই বোঝা যায় গ্রুপগুলো কিভাবে মানুষকে প্রভাবিত করে একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’
সূত্র: দ্যা ভার্জ