সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং টুইট হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ফেক নিউজ ছড়ানোর অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। কিন্তু এর সবকিছুই কী মানুষ করে?
জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম টুইটারে ‘টুইটার বট’ এর মাধ্যমে এখন প্রতিদিন হাজারো পোস্ট টুইট/রি-টুইট হচ্ছে। কিন্তু সেইসব পোস্টগুলোর জন্য অটোমেটেড মেশিন ব্যবহার করে হচ্ছে। তাই গবেষকরা নতুন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন যা টুইটার বটস থেকে শেয়ার করা পোস্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
ডিজিটাল হিউম্যানিটিস কনফারেন্সে এক দল গবেষক দেখিয়েছেন কিভাবে নতুন এই মেশিন লার্নিং টুল ব্যবহার করে অটো জেনারেটেড টুইটগুলো শনাক্ত করতে পারবে।
গবেষকরা বলছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ‘বিগ ডাটা’ বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে প্রভাবিত করছে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সেসব তথ্যে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন গবেষকরা।
তারা বলেন, ‘তথ্যে বিশ্লেষণের জন্য টুইটার থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য হ্যাশট্যাগ, টুইট এবং মেটা- ডেটা একটি সহজ ও জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। কিন্তু অনেক সময় ‘টুইটার বট’ থেকে প্রকাশিত টুইটগুলো জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।’
এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিক্কো লেইটাইনেন বলেন, ‘নতুন এই প্রযুক্তি টুইটার থেকে সঠিক ও মানসম্পন্ন তথ্যের একটি সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
উল্লেখ্য, টুইটার বট কিন্তু একটি অটোমেটেড সার্ভিস, যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টুইটারে পোস্ট শেয়ার হয়।
গবেষকদের সমীক্ষায় দেখা যায়, টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫-১০ শতাংশ হচ্ছে বট এবং এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২০-২৫ শতাংশ টুইট শেয়ার হয়। তারা বলছেন, নতুন এই মেশিন লার্নিং সিস্টেমটি খুব সহজেই টুইটারের বিশাল এই তথ্যভাণ্ডার থেকে সঠিক তথ্য বিশ্লেষণে সাহায্য করবে।
অধ্যাপক লেইটাইনেন বলেন, ‘যদিও অনেক বট সিস্টেম ক্ষতিকর নয় কিন্তু অনেক সময় আবার ফেক নিউজের মতোই আমাদের জীবনে ক্ষতিসাধন করে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন নজরদারি এবং সঠিক তথ্য প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তি।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও