১৩ মে হঠাৎ করে উধাও হতে শুরু করে ফেসবুকের বড় এবং জনপ্রিয় গ্রুপ গুলো। কিন্তু কেন গ্রুপগুলো এভাবে উধাও হয়ে যায় তার কোন কারণ তখন জানা যায়নি। শুধু যে বাংলাদেশ থেকেই গ্রুপগুলো উধাও হয়ে যায় এমন নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ এভাবে উধাও হয়ে যায়।
জনপ্রিয় এর গ্রুপ গুলো কেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা কারণ জানতে ফেইসবুকের কাছে ইমেইল করেন অনেকেই। কিন্তু বরাবরি চুপ ছিলো ফেসবুক। কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুক জানালো তারা স্যাবটাজের স্বীকার হয়েছিলো। যা নিশ্চিত করে মাধ্যমটির একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ফেসবুক জানায় , হঠাৎ করেই তারা দেখতে পায় বিভিন্ন গ্রুপ ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ করে এমন কনটেন্ট প্রকাশের অভিযোগ পেতে থাকে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রুপগুলো বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। একইসঙ্গে গ্রুপের অ্যাডমিনদের অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় করে দেয় মাধ্যমটি। তবে ফেসবুক পরে জানতে পারে, এই কাজটি গ্রুপ সংশ্লিস্ট কেউ করেনি, বরং কোন দুর্বৃত্তরা করেছে। তাই একে ‘সাবোটাজ’ বলছে ফেসবুক। এরপর নিজেরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইতোমেধ্যে বেশিরভাগ গ্রুপ এবং অ্যাডমিনদের অ্যাকাউন্ট ফেরত দিয়েছে ফেসবুক। তবে এমন করে ভবিষ্যতে যেন কোন গ্রুপ আক্রান্ত না হয় বা সাবোটাজের শিকার না হয় তার জন্য ব্যবস্থাও নেবে ফেইসবুক।
ফেসবুক জানাচ্ছে, সাবোটাজের বিষয়টি প্রথম তাদের নজরে আসে জনপ্রিয় মিম অ্যাকাউন্ট ক্রসওভার্স নোবডি আস্কড ফর (সিএনএএফ) বন্ধ হওয়ার পর। এর পেছনে ইন্দোনেশিয়ান রিপোর্টিং কমিশন (আইআরইসি) নামের একটি গ্রুপের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট করার পর একযোগে অনেকে অভিযোগ দিয়ে জনপ্রিয় গ্রুপটি বন্ধ করে দেয় আইআরইসি।জনপ্রিয় সেই গ্রুপটি বন্ধ হবার পর ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন অনেকেই। তারা বলেন, ফেসবুকের মডারেশন প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা রয়েছে। যার পরই নড়েচড়ে বসে ফেসবুক।
স্যাবটাজের স্বীকার হয়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রুপ সার্চ ইংলিশ, উই আর বাংলাদেশ, এভারগ্রিন বাংলাদেশ, আপওয়ার্ক বাংলাদেশ, ভয়েজ অব রাইটস, উই আর বাংলাদেশ, ডিয়ার এক্স, গেইমভার্সি, ক্রিকেটখোর, ফুটবল মানিয়া, ফুটবল কর্নার, মজা লস?, জবস বাংলাদেশ, আমরা সিলেটি, ভাইরাল স্ক্রিনশট, ব্রাজিল ফ্যান্স অফিসিয়াল গ্রুপ অব বাংলাদেশ টিএম, কোটা সংস্কার চাই (বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ), ইসলামিসক অনলাইন একাডেমি, সাকিব খানের অফিসিয়াল গ্রুপ, হিমু পরিবারসহ আরও অনেক গ্রুপ উধাও হয়ে যাবার ঘটনা ঘটে।