সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এখন লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মত হয়ে গেছে। আর এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাগাম এখন মার্ক জাকারবার্গের হাতেও নেই।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও ফেসবুক লাইভ সম্প্রচার করা হলে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এই নিয়ে লাইভ সম্প্রচারে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচারে নতুন করে আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে এই মাধ্যম থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে নতুন এই ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুকের এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে লাইভ ফিচার ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে প্রতিরোধ করতে ফেসবুক লাইভে নতুন নীতিমালা ‘ওয়ান স্ট্রাইক’ পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে কেউ যদি উগ্রবাদ বা সহিংসতামূলক কোনো পোস্টও তার প্রোফাইলে শেয়ার করে তাহলে লাইভ সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোজেন ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে লাইভ ফিচার ব্যবহারে ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য ঝুঁকির হার কমিয়ে আনা এবং এই ফিচারটিকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। আর এই নিষেধাজ্ঞা ফেসবুকের আরও বিভিন্ন ফিচারে যুক্ত করা হবে এবং যারা এসব নীতিমালা লঙ্ঘন করবে তখন তাদের বিজ্ঞাপন প্রদানেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলায় তারা প্রত্যক্ষ করেছেন যে, এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেসবুকের বিভিন্ন ফিচার এবং সার্ভিস সীমাবদ্ধ করে দিলে অনেকাংশে বিশৃঙ্খলার পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।’
ফেসবুক ব্লগ পোস্টে জানায়, তাদের প্লাটফর্মে ‘ছবি ও ভিডিও এনালাইসিস’ প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তারা যৌথভাবে কাজ করবে।
এর আগে ফেসবুকে প্রভাব বিস্তারকারী প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পল নেহেলেন, রেডিও ব্যক্তিত্ব অ্যালেক্স জন এবং মিলো ইয়ান্নোপোউলাস।