বর্তমান বিশ্বের যেকোনো খবরাখবর এখন মুহূর্তেই ভেসে বেড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে। এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাবই পড়ে মানুষের জীবনে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার অসংখ্য ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকের এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলার প্রথম দিনেই এই মাধ্যম থেকে ১.৫ মিলিয়ন সংখ্যক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য যে গ্রাফিকাল কনটেন্টগুলো শেয়ার হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করতে কাজ করছে ফেসবুক।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক বার্তায় বলা হয়, 'ভিডিও ক্লিপ্স এবং এর রিপোস্টগুলো প্রতি সেকেন্ডে শেয়ার করা হচ্ছে ইউটিউবে। টুইটার এবং ইউটিউব থেকে ভিডিওগুলো মুছতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।'
ইউটিউবের এক বিবৃতিতে জানায়, এত বিপুল পরিমাণে ভিডিও ক্লিপ্স গুলো যেভাবে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তা নজিরবিহীন। তাদের টেকনিক্যাল টিমগুলো এই মুহূর্তে ভিডিওগুলো যাতে আর না ছড়ায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
এদিকে অন্যতম সামাজিক সাইট রেডিট তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে এরকম যেকোনো ভিডিওতে রিপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাইট থেকে নিউজিল্যান্ডের এএসবি ব্যাংক এবং লোটো কোম্পানি তাদের সবরকম বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ফেসবুক থেকে তাদের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। মূলত এই ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ার ফলে যে মানসিক ক্ষতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনার বিরূপ প্রভাব পড়েছে নিউজিল্যান্ডে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।