চেহারা সনাক্তকরণ প্রযুক্তির উন্নয়নে গ্রাহকের পূর্বের ছবির সাথে বর্তমানের ছবির পার্থক্য খুঁজে বের করতে এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে আরো নিখুঁত করতে শুরু হয়েছে হালের ক্রেজ টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ এমনটাই মনে করেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি নিয়ে প্রকাশ হওয়া ওয়্যার্ড ম্যাগাজিনের লেখিকা ‘কেট ও নিল’ এর একটি ব্যঙ্গাত্মক টুইট থেকে এই রহস্য আরো ঘনীভূত হয়।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন এই চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে ফেসবুক একসঙ্গে অনেকের বয়স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিচ্ছে।
তবে তিনি শুধু একাই নন তার সাথে সহমত প্রকাশ করে এন ওয়াই ইউ ইস্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস এর অধ্যাপক অ্যামি ওয়েব সিবিএস নিউজকে বলেন, এ ধরনের মেমে (ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট) গুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক সহায়তা করে থাকে এছাড়াও ১০ বছরের পার্থক্য দিয়ে যে ছবিগুলো আপলোড করছেন গ্রাহকরা এর ফলে তাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন এ সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে সহায়তা করবে।
তবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে এক টুইটের মাধ্যমে জানানো হয় এর শুরুটা ফেসবুকেই হয়েছে এবং তা হয়েছে গ্রাহকদের মাধ্যমেই। প্রথম কেউ একজন ২০০৯ এবং ২০১৯ সালে ছবি পাশাপাশি এনে পোস্ট করেছেন- এতে ফেসবুকের কোনো হাত নেই।
তবে প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, গ্রাহকদের প্রত্যেকটি তথ্যই এখন অনেক দামী তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো সচেতনভাবে তাদের নিজেদের তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়, কেননা মানুষ যত নিজেকে এক্সপোজ করবে ততই সে তথ্য বাণিজ্যের শিকার হবার সুযোগ বেড়ে যাবে ।