দেশের বিভিন্ন এলাকায় আর্থ সামাজিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে তরুনদের পাঁচটি উদ্যোগকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বহুজাতিক কোরীয় কোম্পানি এলজি ইলেক্ট্রনিক বাংলাদেশ। মানুষের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টার জন্য তাদেরকে এলজি অ্যাম্বাসেডর বৃত্তি নামে এ সহায়তা ও স্বকৃতি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ( ৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ স্বকৃতি ও সহায়তা প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হলো,খুলনার কয়রার ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট’র প্রতিনিধি আশিকুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যাচ ৯৭’র মুখপাত্র আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, যশোরের আমরা বেনাপোল বাসিন্দা’র তাওসিফ আহমদে ,ঢাকার টিডিসি শিক্ষা সহায়তা’র সমন্বয়ক ইরফান হক এবং দিনাজপুরের স্মৃতি বিজ্ঞান ক্লাব’র আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ কাছে ৪ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা ব্যাংক চেক হস্তান্তর করেন এলজি ইলেক্টনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি কে সন ।
অনুষ্ঠানে খুলনার কয়রার ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট এর উদ্যোক্তা আশিকুজ্জামান তার প্রকল্প তুলে ধরেন। সমাজে বাঘবিধবাদের নিয়ে একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে স্ত্রী অভিশপ্ত বলে তার স্বামীকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে। তাই এই সব কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে ছিলো তার লড়াই। তিনি এমন ৫ জন বাঘবিধবাকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন এবং স্বাবলম্বী গড়ে তুলে তাদের কাপড় ও সেলাই মেশিন দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের উপস্থাপনা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজি ইলেক্ট্রনিক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি কে সন বলেন, সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তারুণ্যের শক্তি। বাংলাদেশের তরুণরা অনেক উদ্যমী । দেশের – সমাজে নানা সমস্যা সমাধানে তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পণ্যসেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাপনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আমরা কাজ করছি। ‘জীবনটা সুন্দর’ স্লোগান ধারণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এলজি।
এই পর্যায়ে যারা সিলেক্ট হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশ’র হেড অব কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স মাহমুদুল হাসান বলে, এই প্রকল্পের সাফ্যল্য নির্ভর করে আপনাদের নিজেদের চেস্টার , যাতে আপনাদের কাজ দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।
আশা করছি আমদের উদ্যোগ দেখে অন্যান্য কোম্পানি গুলো এগিয়ে আসবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বেসরকারী সংস্থা গুড নেইবারস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম সাপোর্ট বিভাগের পরিচালক আনন্দ কুমার দাস বলেন, আমি মনে করি তরুণরা এই দেশের ভবিষ্যৎ , আজকে এলজি বাংলাদেশ আমাদের দেশে শুধু ব্যবসা নয় দ্বায়িত্ব বোধ থেকে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য চেস্টা করছে আমরা তাদের চেস্টাকে সাধুবাদ জানাই।
আমি বিশ্বাস করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়ারফুল একটি পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
দেশের নানা প্রান্তে আর্থিক সহায়তার কারণে যে সকল প্রচেষ্টা থেমে আছে তাদের সাহায্য করতে ২০১৭ সাল থেকে ‘এলজি অ্যাম্বাসেডর প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। ফেসবুকে ‘এলজি বাংলাদেশ’ পেজে পরিচালিত একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গত অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ১৮১ টি প্রকল্প প্রস্তাব জমা পড়ে। অইর প্রস্তাবগুলো থেকে উপযোগিতা , টেকসই গুণাবলি, এবং বাস্তবায়নের দক্ষতা বিবেচনায় এই পাঁচটি সংগঠন ও ব্যাক্তির প্রকল্প নির্বাচিত করা হয়।