স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের পঞ্চম ব্যাচ গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিজেদের ধারণার উপস্থাপন করেছে।
জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পকে সমর্থন দেয় এবং আমি জিপি এক্সেলেরেটরে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে তারা চলতি পথে পার্কিং এর স্থান খুঁজে বের করার সমস্যা সমাধানে কাজ করছে যা আমাকে আনন্দিত করেছে।"
বিগত তিন বছরে গ্রামীণফোন একসেলেরেটর কর্মসূচীর অগ্রগতি এবং অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলোর ক্রমবর্ধমান মাননিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন," এই প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী স্টার্টআপ ইকো সিস্টেম গড়ে তুলেছে এবং দ্রুত দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেন্টশিপ কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে।
জিপি অ্যাকসেলেরেটর একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম যা স্টার্টআপগুলোকে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষকদের সঙ্গে চার মাস মেয়াদী মেন্টরশিপ কর্মসূচির সুযোগ করে দেয়। নির্বাচিত স্টার্টআপরা ৮ শতাংশ ইক্যুইটির বিপরীতে সিডফান্ডিং হিসেবে পায় ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়াও, স্টার্টআপগুলো ১১ হাজার ২শ’ মার্কিন ডলার সমমূল্যের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট (এডব্লিউএস) ও জিপি হাউজে অফিস করার সুযোগ লাভ করে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম গ্রামীণফোনের উদ্ভাবনী লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটরের রূপকল্প আর গ্রামীণফোনের রূপকল্প একই। আমরা এখানে, তরুণদের ক্ষমতায়নে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে সীমানা পেরিয়ে তাদের বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছি।’
আলাদা ও বৈচিত্র্যময় ডোমেইন ও শিল্পখাতে নিজেদের প্রবৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষ তাদের প্রাত্যহিক জীবনে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় তার সমাধানে এ চারটি স্টার্টআপ কার্যকরিভাবে এগিয়েছে। স্টার্টআপগুলো হলো, সার্চ ইংলিশ, পার্কিং কই, সিওয়ার্ক, অনুকিট।