তিনি সবার আগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই তিনি এবার আরেকটি ঘোষণায় জানিয়ে দিলেন, আমি নির্বাচন করছি না। সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে তরফদার রুহুল আমিন সেই সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেননি। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পত্র কেনেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিনে এসে রুহুল আমিন সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে দাঁড়ালেন।
সহ-সভাপতি পদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করলেন। তার সেই আবেদন বাফুফের নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচক কমিশন গ্রহণ করেছে। শুরুতে খানিকটা জটিলতা ছিল, কিন্তু পরে তার সেই প্রার্থীতা প্রত্যাহর পত্র গৃহীত হয়েছে। তার এই প্রার্থীতা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তে এখন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ইমরুল হাসানের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ পরিস্কার হয়ে গেল। এখন কেবল সেই ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
ভোটের লড়াই শুরুর ছয়দিন আগেই ইমরুল এখন সবচেয়ে শান্তিতে থাকা প্রার্থী। এক অর্থে ওয়াকওভারই পেয়ে গেছেন তিনি। বাফুফের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসছেন তিনি। স্বস্তির হাসি হাসছেন বসুন্ধরা কিংসের কর্ণধার।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর পদে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই তরফদার রুহুল আমিন বিশাল সমারোহে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, তিনি বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। কিন্তু নির্বাচনের প্রার্থীতা জমা দেওয়ার দিন যতো ঘনিয়ে আসে তিনি তার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। নতুন সিদ্ধান্ত হিসেবে সভাপতি পদে নয়, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। সেই পদে মনোনয়ন পত্রও কেনেন। জমা দেন। সেই তিনিই আবার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন এসে নিজেকে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকেই সরিয়ে নিলেন।
বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠেয় হবে ২৬ অক্টোবর।