ফুটবল ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির দলীয় শিরোপার সংখ্যা ৪৬। এর চেয়ে বেশি শিরোপা জেতার কীর্তি আর কারোই নেই। এমন কীর্তির জন্য সম্প্রতি স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কা তাকে ‘মার্কা আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার দিয়েছে।
মেসিকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় চেজ স্টেডিয়ামে, যা তার ক্লাব ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ। সেখানে তাকে ভক্ত ও সতীর্থদের উপস্থিতিতে এই সম্মাননা জানায় মার্কা।
এই পুরস্কার নিতে গিয়ে নিজের জীবন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অনেক কিছুই বলেছেন মেসি। তার চুম্বকাংশ বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–
আপনার শৈশবে প্রথম শিরোপা কি মনে আছে?
শৈশবে আমার প্রথম ট্রফির ছবি দেখেছি, কিন্তু সেটা মনে নেই। নিশ্চিতভাবেই আমি তখন জানতাম না সামনে কী অপেক্ষা করছে। ছোটবেলা থেকেই আমি ফুটবল উপভোগ করেছি। এটা আমার আবেগ।
কতগুলো শিরোপা হলো, আপনি কি তা গোনেন?
আমি শিরোপা গুনি না, বিশেষ করে ব্যক্তিগত শিরোপাগুলো তো নয়ই। ভিডিওটি দেখা চমৎকার ছিল। অনেক কিছু আমার মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আমাদের কিছু কঠিন মুহূর্তও ছিল। সবকিছুই সুন্দর নয়। হতাশাগুলো আমাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে, আমাকে আজকের মেসি বানিয়েছে।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল?
আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার হয়ে ভরা স্টেডিয়ামে খেলেছি। সেখানে দর্শকরা আমার এবং আমার সতীর্থদের নামে গলা ফাটাচ্ছিল। আর্জেন্টিনার সাথে অনেক কঠিন সময় পার করেছি এবং আমি এখনকার মুহূর্তের জন্য কৃতজ্ঞ। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি এই মুহূর্তগুলো কাজে লাগাচ্ছি। আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক বড়। আমি এখানে এসেছি এই ক্লাবটাকে আরও বড় করার জন্য, অবসর উপভোগ করার জন্য নয়। আমরা অনেক শিরোপা জিততে পেরেছি, এটাই আমাদের সৌভাগ্য।
থিয়াগো, মাতেও, এবং সিরোর সমালোচনা শুনতে হয়?
আমাদের সন্তানরা মাঝে মাঝে আমাকে এখানে স্পেনে না থাকার জন্য অভিযোগ করে। এখন তারা সবকিছু বুঝতে শিখেছে। আমি যা করি তা ভালোবাসি। মাঠে থাকাটা উপভোগ করি। সেদিন মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে আমার নাম ধরে চিৎকার করা উপভোগ করেছি। আমি এই মুহূর্তটি পাওয়ার জন্য কঠোর লড়াই করেছি, আর এখন আমি আগের চেয়ে বেশি উপভোগ করছি। যখন শেষ সময় কাছে আসে... তখন অনেক কিছুই নতুনভাবে মূল্যায়ন করা যায়। এখানে আসাটা অবসর নেওয়ার জন্য ছিল না। এটা ছিল একটি নতুন ক্লাবকে বড় করার জন্য। আমরা শিরোপা জয়ের পথে আছি।
পরবর্তী লক্ষ্য বা স্বপ্ন?
আমি আমার সব স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। ছোট বেলায় যা স্বপ্ন দেখেছি, তার চেয়েও বেশি কিছুই পেয়েছি। ঈশ্বর আমাকে সেটা দিয়েছেন। একজন খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো বিশ্বকাপ জয়, যা আমি পেরেছি। আমি আমার জীবনের ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছি। আমি প্যারিস এবং এখন ইন্টারের হয়েও জয় পেয়েছি। আমি আরও অনেক কিছু অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
২০২৬ বিশ্বকাপ?
আমি আগাম কিছু ভেবে ফেলি না। আমি প্রতিদিনকে উপভোগ করার চেষ্টা করি। সময় এলে দেখা যাবে, আমি তাড়াহুড়ো করতে পছন্দ করি না। আশা করি আমি এই মানে পারফর্ম করতে পারব, যাতে নিজে ভালো অনুভব করি এবং সুখী থাকি। আমার জন্য এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারবো কিনা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটাই।