রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল (রোববার) সাকিব আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বসেরা! দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। যার মধ্যে আবদুল্লাহ শফিক ও সাউদ শাকিলের উইকেট ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যা দলের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
মাঠের বাইরের সমালোচনা এড়িয়ে ক্রিকেটের মাঠে সাকিবের এমন পারফর্ম অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও বহুবার এমনটা করে দেখিয়েছেন তিনি। সমালোচনা অন্যান্য ক্রিকেটারকে মাঠের খেলায় বেশ অস্বস্তিতে রাখলেও, সাকিবের ক্ষেত্রে সমালোচনা তার মাঠের খেলায় কোনো প্রভাবই ফেলে না বলে জানালেন বিসিবির নবনিযুক্ত পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
সাকিবের শিক্ষক হিসেবে আলাদা একটা পরিচয় আছে নাজমুল আবেদীন ফাহিমের। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিকেএসপি থেকে তাই সাকিবের সঙ্গে তার আছে আলাদা বোঝাপড়া। তাই তো হত্যা মামলা, আইনি নোটিশ এসবের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়েও কীভাবে সাকিবের এমন পারফর্ম সেই রহস্যই জানালেন ফাহিম।
মাঠের বাইরের এমন দুঃসময়ে সাকিব পাশে পেয়েছেন তাদের সতীর্থদের। তবে ফাহিমকে ঠিক তার পাশে না পেলেও বিসিবির এই পরিচালক জানালেন, সাকিবের অভিজ্ঞতা এবং মাঠে তার কার্যকরী বিষয়গুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে।
সাকিবের স্ট্রং মেন্টালিটি নিয়ে এর আগে কথা বলেছেন অনেকেই। তবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম গেলেন না সেই প্রসঙ্গে। তিনি বললেন মাঠে একজন বোলারের পরিচয় যেমন হওয়া উচিত, সাকিব তেমনই একজন।
মিরপুরে আজ (সোমবার) গণমাধ্যমকে সাকিব প্রসঙ্গে ফাহিম বলেন, ‘মেন্টালি স্ট্রং বলব না। যে কোনো অ্যাথলেট হোক, যে কোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে মাঠে নামে, আমার মনে হয় না তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোনো চিন্তা না আসে। তার (সাকিব) ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনো চিন্তা থাকে না।’
সমালোচনা এড়িয়ে মাঠের নিজের আসল খেলাটা খেলতে পারেন। এই ব্যাপারটাই সাকিবকে অন্যদের থেকে আলাদা করে বলেও জানান ফাহিম। সাবিক আল হাসান বিশ্বে একজনই, তার কথাই এটাই প্রকাশ পেয়েছে বারবার।
‘বল কোথায় করবে, কীভাবে করবে। অন্য কোনও সময় আসতে পারে চিন্তা, তবে বল করার সময় চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদেরকে ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক না।’