অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টির এবারের আসরের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও পরের দুটি ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ এইচপি দল। তবে দলীয় নৈপুণ্যে অবশেষে জয়ে ফিরল আকবর আলীর দল। বোলিংয়ে রিপন মণ্ডল-আবু হায়দার রনিদের পেস তোপের পর ব্যাট হাতে ৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ওপেনার জিশান আলম। এতেই অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরির বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ এইচপি দল।
সবশেষ ম্যাচেই বুধবার বোলিংয়ে ছন্দহীন পারফর্মে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটর বড় ব্যবধানে হেরে যায় আকবর-আফিফরা। পরে সেই বোলিংয়ের ছন্দটাই ফিরল রিপন-রনিদের পেসে। এই দুই পেসার মিলেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। পরে বাকি কাজ সেরেছেন জিশান-ইমনরা।
টিআইও স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল। পরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় তারা।
সহজের কাতারের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ পেয়েছিল এইচপি দল। তামিম ও জিশানের ব্যাটিং ছন্দে ৫ ওভারেই সংগ্রহ পৌঁছে যায় ৫১ রানে। তবে এরপরের বলেই ব্যক্তিগত খাতায় ১৮ রান নিয়ে ফেরেন তামিম। পরে ইমনকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জিশান। মূলত সেখানেই গড়ে যায় জয়ের ভিত।
পরে ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৫০ রান করে ফেরেন জিশান। সেখান থেকে ১৬ ওভার ৪ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আকবর আলীরা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল। ৬৩ রানের তারা হারিয়ে বসে শুরুর ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ আর সামলে উঠতে পারেনি তারা। এবং সংগ্রহ থামে ১২৪ রানেই। সেখানে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে ওপেনার মাইকেল ম্যাকনামারার ব্যাটে।
এইচপি দলের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিপন। সমান রান খরচ করে রনি নিয়েছেন দুই উইকেট।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে এইচপি দল। এদিকে পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে এনটি স্ট্রাইক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি: ১২৪/৯ (২০ ওভার) (ম্যাকনামারা ৩৬, মার্ন ২০; রিপন ৩/২৬, রনি ২/২৬)
বাংলাদেশ এইচপি দল: ১২৫/৪ (১৬.৪ ওভার) (জিশান ৫০, ইমন ২৩; স্মিথ ২/২৯)
ফলাফল: বাংলাদেশ এইচপি দল ৬ উইকেটে জয়ী