লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই আছে। দেড়শ করলেই রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখবে ফরচুন বরিশাল। সহজ সেই লক্ষ্যেও বড্ড তাড়া ফরচুর বরিশালের ব্যাটারদের। দলীয় ২২ রানেই সাজঘরে দুই ব্যাটার। শুরুটা পেয়ে যায় রংপুর। তবে সেই শুরুটা পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেনি দলটির বোলাররা। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম উইকেটে এসে দলকে টেনে তুলছেন। সৌম্য সরকারকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ফাইনালের পথে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফরচুর বরিশালের সংগ্রহ ৯ ওভার শেষে ২ উইকেট খরচায় ৬৭ রান। উইকেটে আছেন মুশফিক। তার ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছে বরিশাল।
অথচ এদিন লক্ষ্য তাড়া করতে বেশ সতর্কই দেখা গেছে বরিশালের ব্যাটারদের। ফারুকী জুজু কাটাতে প্রথম ওভারে নন স্ট্রাইক পজিশনে দাঁড়াতে দেখা গেছে ওপেনার তামিমকে। তাতে ফারুকীকে উইকেট দিতে হয়নি ঠিকই; তবে ইনিংসটাও এগোয়নি খুব বেশি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে সজঘরে ফিরতে হয়েছে বরিশাল অধিনায়ককে। ওই ওভারেই ফিরেছেন আরেক ওপেনার মেহেদী মিরাজ। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৮ রানে থামতে হয়েছে তাকে।
এরপর অবশ্য সময় নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়েছেন মুশফিক-সৌম্য। দু’জনে মিলে শুরুর চাপ সামলে দলকে রানে রেখেছেন। টানছেন জয়ের পথে।
এর আগে, টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রংপুরের ব্যাটাররা। ১৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৪৮ রানে হারায় পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারালে শঙ্কা জাগে দলীয় শত রান পার করা নিয়ে। তবে সেই শঙ্কা বেশ ভালোভাবেই কাটায় রংপুর। ২৪ বলে ৫৯ রানের একটা ইনিংস খেলে দলকে ১৪৯-এ নিয়ে যান শামীম পাটুয়োরী। স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় রংপুর।