দুর্দান্ত ঢাকার বিপিএল শুরু দুর্দান্ত জয়ে

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-01-19 18:13:55

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ করে রেখে গিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকার বোলাররা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে আটকে রেখেছিল দেড়শর আগেই। ইনিংসের শেষ ওভারে চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে বিপিএলের শুরু করেছেন শরিফুল ইসলাম। তার দিনে ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিল দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটাররা।

ওপেনিং জুটিতে দলীয় শত রান পার করার পর খেই হারিয়েছে ঢাকা। দ্রুত উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছে ভিক্টোরিয়ান্স বোলাররা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চেষ্টা পণ্ড করে দিয়েছেন ঢাকার ইরফার শুক্কুর। দলকে জিতিয়েছেন ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। তাতে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলকে হারিয়ে দুর্দান্ত এক শুরু পেয়েছে ঢাকা। ব্যাট হাতে দলের জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকার দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও দানুষ্কা গুনাথিলাকা।

এদিন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দলটির দুই ওপেনার নাঈম ও গুনাথিলাকা। লঙ্কান গুনাথিলাকা কিছুটা ধীরস্থির হলেও ব্যাট হতে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন নাঈম। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হতে দেখা গেছে তাকে। পরে অবশ্য ব্যাটিংয়ে গতি কমে আসে তার। তবুও ব্যাট হাতে লম্বা সময় দলকে রানে রেখেছিলেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে বাকি ব্যাটাদের ওপর সেই অর্থে রানের চাপ পড়েনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪০ বলে ৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর অবশ্য রানে লাগাম টানে কুমিল্লা। দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে ঢাকার। যা চাপ বাড়াচ্ছিল বাকি ব্যাটাদের ওপর। একটা সময় ৪২ বলে ৪১ করে ফিরতে হয় গুনাথিলাকাকেও। এরপর দ্রুতই ফিরেন লাসিথ ও সাইফ। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি দারুণ খেলতে থাকা ইরফানও। শঙ্কায় পড়ে যায় ঢাকার জয়। তবে সেই শঙ্কা মাঠে নেমেই দূর করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি ছাড়া করে এনে দেন টুর্নামেন্টের প্রথম জয়।

এর আগে, এদিন ফিল্ডিংয়ে নেমে দ্রুতই সাফল্য পেয়েছে ঢাকা। চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় লিটনকে। এরপর অবশ্য ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন তাওহিদ। তবে দু’জনের কাউকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী মনে হয়নি। ইমরুল ব্যাট করেছেন ম্যাচের ১৯ তম ওভার পর্যন্ত। রান করেছেন ৫৬ বলে ৬৬। ইনিংসে ছিল ২টি ছয় ও ৬টি চারের মার। আরেক ব্যাটার তাওহিদ ৪১ বলে করেন ৪৭ রান।

পর্যাপ্ত উইকেট থাকার পরও তাদের এমন ব্যাটিংয়েই স্কোরবোর্ডে বড় ভিত পায়নি কুমিল্লা। তাওহিদ আউট হওয়ার পর উইকেটে এসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করেছিলেন খুশদিল শাহ। ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৩ রান করেন তিনি। তবে বাকি ব্যাটাদের রানের খাতা খুলতে দেননি শরিফুল। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে ফেরান তিন ব্যাটারকে। তুলে নেন চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে কুমিল্লার ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেট খরচায় ১৪৩ রানে। যেখানে তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। শরিফুলের শিকার ৩ উইকেট।

এদিন সপ্তম বোলার হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন শরিফুল। এর আগে সবশেষ ২০২২ সালে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বাংলাদেশের আরেক পেসার আল-আমিন হোসাইন পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর