বল হাতে দাপট দেখালেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান। ফল হওয়ার তাই হলো। অল্প পুঁজিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। শুরুতে ব্যৎাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।
৬ রান করতেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের উইকেট ভেঙে দেন এ তারকা স্পিনার। বাংলাদেশের দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৭ রান। পরে একে একে বিদায় করে দেন অন্য ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৫) ও ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসানকে। ক্যাপ্টেন সাকিব হতাশ করেছেন ১১ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরে।
মুজিবের স্পিন বিষের মাঝেই ঘূর্ণি জাদু নিয়ে হাজির হন রশিদ খান। দলীয় সংগ্রহ ২৮ হতেই এবার রশিদ খানের এলবিডব্লিউ’র শিকার হন মুশফিকুর রহিম (১)। ১২ রান যোগ করে রশিদের বলে একইভাবে আউট হন বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার আফিফ হোসেন। দলের পুঁজি তখন ৫ উইকেটে ৫৩।
তবে দলের বিপদ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ বলে এনে দেন ২৫ রান। তার সঙ্গে ব্যাট হাতে জ¦লে উঠেন মোসাদ্দেক হোসেন। দলের স্কোরটা ১০০ রান পেরিয়ে যায়। তবে ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেও অর্ধ-শতকের দেখা পাননি। অপরাজিত থাকলেও দুই রানের অক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এ স্টার অলরাউন্ডার ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৮* রানের হার না মানা কার্যকরী ও চমৎকার এক ইনিংস খেলেন। শেষে তার ব্যাটিং সঙ্গী মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে ১৬ রান খরচ করে তিন উইকেট শিকার করেন মুজিব উর রহমান। তার সঙ্গে সমান তিন উইকেট পান রশিদ খানও।