লড়াই জমিয়ে তুলতে পারলেন না পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। উল্টো ভারতের বোলাররা করলেন রাজত্ব। ইনিংসের শুরু থেকেই চেপে ধরলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। রানরেট দমিয়ে রেখে অল্পতেই গুটিয়ে দিলেন বাবর আজমের বাহিনীকে। ভারতীয়দের আগুনে বোলিংয়ে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অভিযাত্রা থেমে যায় ১৪৭ রানে।
বাবর আজম দলীয় স্কোরে ১০ রান যোগ করেই ভুবনেশ্বর কুমারের শিকারে পরিণত হন। দলীয় সংগ্রহ তখন সবে ১৫। তবে ভারতের বোলিং দাপটের মাঝেও ব্যাটিং দৃঢ়তার পরিচয় দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ফিফটির দেখা পাননি এই ওপেনার। ৪২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৩ রানের চমৎকার এক খেলেন। ইফতিখার আহমেদ এনে ২৮ রান। তার ২২ বলের ইনিংসে ছিল ২ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারি। ওয়ানডাউনে নামা ফখর জামানও হতাশ করেন ভক্তদের। বাবরের স্কোর ছুঁয়েই সাজঘরে ফিরেন তিনি। শেষ দিকে শাহনওয়াজ ১৬, হারিস রউফ ১৩* ও শাদাব খান ১০ রান এনে দেন।
ভারতের জার্সি গায়ে ৪ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এজন্য রান দেন ২৬। তার সঙ্গে পেস বোলিংয়ে তোপ দাগান হার্দিক পান্ডে। বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে ২৫ রান খরচায় একাই শিকার করেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট পান যায় আরশদীপ সিং। বাকি উইকেটটি যায় আভেশ খানের পকেটে।
এশিয়া কাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হয়নি পাকিস্তানের। টস কথা বলেছে ভারতের হয়ে। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। ভারতের একাদশে জায়গা পাননি রিশব পান্ত। তার বদলে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়ান দিনেশ কার্তিক। দলে ছিলেন না রবীচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছেন শাহনওয়াজ দাহানী।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, আভেশ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল ও আরশদীপ সিং।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও শাহনওয়াজ দাহানী।