জয় দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করল আফগানিস্তান। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে তারা উড়িয়ে দিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
আফগান বোলাররা জয়ের পথটা আগেই সহজ করে রেখেছিল। লঙ্কানদের গুটিয়ে দেয় ১০৫ রানে। ১০৬ রানের লক্ষ্যটা মাত্র দুটি উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে আফগানরা।এবং সেটা মাত্র ১০.১ ওভারেই।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৩৭ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন হজরতউল্লাহ জাজাই। শ্রীলঙ্কার হয়ে একটি উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
ফজলহক ফারুকী, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর দুরন্ত বোলিংয়ে অল্পকেই আটকে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৫ রানেই থেমে যায় লঙ্কানদের ব্যাটিং অভিযাত্রা। দলীয় স্কোরে ৫ রান জমা হতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ব্যাটিং ধস সামলে উঠতে না পারায় একে একে কুশল মেন্ডিস (২), চারিথা আসালাঙ্কা (০) ও পাথুম নিসানকা (৩) ফিরে গেলে মহা বিপদে পড়ে লঙ্কানরা।
তবে দলকে মহাবিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দানুষ্কা গুনাথিলাকা- ভানুকা রাজাপাকসে। কিন্তু মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণি জাদুতে চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি তোলে ৩২ বলে ৪৪ রান। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান এনে দিয়ে ফেরেন গুনাথিলাকা। রাজাপাকসে ২৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে রান আউট হন। শেষ দিকে ৩৮ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ রান যোগ করেন চামিকা করুনারত্নে।
আফগানদের জার্সি গায়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকী। দুটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী। একটি উইকেট যায় নাভিন-উল-হকের পকেটে।
ম্যাচে শুরুতেই হাসিটা হাসেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। টস জিতেন নেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। অনেক দিন ধরেই দুবাইয়ের মাটিতে ক্রিকেট হচ্ছে না। সে কারণেই টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নবী। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা জানালেন, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন।