দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটাও হলো দুরন্ত। তাতেই বড় জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে টাইগাররা পেল সান্ত্বনার জয়। দারুণ এ জয়েই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রেহাই পেল তামিম বাহিনী। তবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যান সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ২৪ রান করেন ক্লাইভ মাদানে। লুক জংওয়ে ১৫, টনি মুনিয়োঙ্গা ১৩ ও ইনোসেন্ট কাইয়ার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। শেষ দিকে ব্যাট হাতে যা একটু ঝলক দেখান রিচার্ড এনগারাভা (৩৪*) ও ভিক্টোর নিয়াউচি (২৭)। চার-ছয়ের বৃষ্টি ঝরালেও লাভ হয়নি।৩২.২ ওভারে ১৫১ রানেই থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে উইকেট পান এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট গেছে হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।
ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন ম্যাচসেরা আফিফ হোসেন ও এনামুল হক বিজয়। দুজনেই হাঁকিয়েছেন দাপুটে দুটি ফিফটি। দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ।
শুরু থেকে হাসল এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট। ৭১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। মিডল অর্ডারে তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ৮১ বলে ৬ বাউন্যডারি ও ২ ছক্কায় উপহার দেন হার না মানা ৮৫ রানের দুর্বার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট মেজাজে খেলে ৬৯ বলে দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৯ রান। দলের পাঁচজন ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন। অভিষিক্ত এবাদত অবশ্য অপরাজিত থেকে যান
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ব্রাড ইভান্স ও লুক জংওয়ে। একটি করে উইকেট পান রিচার্ড এনগারাভা ও সিরিজসেরা সিকান্দার রাজা।