লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল তারণ্য নির্ডর বাংলাদেশ। কিন্তু লাভ হলো না। শেষ হাসিটা হাসল জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকরা প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল ১৭ রানে।
এ জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে আফ্রিকার দেশটি। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের অভিষেক হার দিয়ে শুরু করল নুরুল হাসান সোহান।
ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন নুরুল হাসান সোহান (৪২*), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৭) ও লিটন দাস (৩২)। তবে কেউ হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি। ফলে জয় নামক সোনার হরিণটা ধরা দিল না। কাছাকাছি পৌঁছেও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দুটি উইকেট নেন লুক জংওয়ে। একটি করে উইকেট উইকেট পান ম্যাচসেরা সিকান্দার রাজা, রিচার্ড এনগারাভা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
তার আগে তারণ্য নির্ডর বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা।
ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন ওয়েসলি মাধেবেরে ও সিকান্দার রাজা। ৬৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাধেবেরে। ৬৫* রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন রাজা। সিন উইলিয়ামস যোগ করেন ৩৩ রান। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি উইকেট পান মোসাদ্দেক হোসেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে বল হাতে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুনিম শাহরিয়ার, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: আরডব্লিউ চাকাভা, সিআর আরভিন, ডব্লিউ মাধভেরে, এসসি উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, এম শুম্বা, আরপি বার্ল, এলএম জংওয়ে, ডব্লিউপি মাসাকাদজা, আর নাগারভা ও টিএল চিভাঙ্গা।