মাশরাফি বিন মর্তুজা অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে। দেশের জার্সিতে এখন খেলছেন ‘পঞ্চপান্ডব’ এর মধ্যে মাত্র চার জন। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
মাশরাফি অবসর না নিলেও জাতীয় দলে তার ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বাকি চার সিনিয়র ক্রিকেটারেরও অবসর নেওয়ার সময় এসে গেছে। সেই ইঙ্গিত দিয়ে তামিম ইকবাল জানালেন, ২০২৩ বিশ্বকাপ হতে পারে তাদের চারজনের শেষ আসর।
টাইগারদের ওয়ানডে ক্যাপ্টেন তামিম বলেন, ‘খুব সম্ভবত (ভারতে হতে যাওয়া) ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটি আমাদের সবার জন্য অনেক বড় আসর হতে চলেছে। বিশেষ করে আমাদের চারজনের জন্য, যাদের এটিই শেষ বিশ্বকাপ। তাই আমরা সম্ভাব্য সেরা দল ও কম্বিনেশন নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনাই করেছি।’
সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে। তাই এবার তামিম বললেন শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি পরখ করে দেখার পরিকল্পনার কথা, ‘আমার কাছে মনে হয় এখন আমাদের সময় এসেছে বেঞ্চের শক্তি দেখার। যখন পয়েন্টসের খেলা হয়, তখন সুযোগ থাকে না কিন্তু এখন যখন একটা সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে, তখন যারা খেলেনি বা দীর্ঘদিন ধরে আমরা যাদের নিয়ে ঘুরছি, তাদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এটার জন্য যদি আমাকে এক ম্যাচ মিস করতে হয় তবুও ঠিক আছে। এই জায়গায় যদি আমরা বেঞ্চের শক্তিগুলো না দেখি তাহলে দেখব কখন?’
তামিম-শান্তর উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান পায় বাংলাদেশ। গায়ানার উইকেট বিবেচনায় তামিমের কাছে সেটা একশ রানের সমান, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমরা ৪৮ রানের দারুণ একটা পার্টনারশিপ করেছি। ৪৮ সংখ্যাটা দেখতে একটু ছোট লাগলেও এই উইকেট বিবেচনায় এটা ১০০ রানের সমতুল্য।’
ওয়ানডে এলেই বদলে যায় টাইগাররা। অন্য সংস্করণে থেকে যায় নিষ্প্রভ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তামিম বলেন, ‘আমরা এই খেলাটায় হয়তোবা একটু কমফোর্টেবল। বেশকিছু ম্যাচও খেলেছি এটাতে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আপনি যদি দেখেন, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আমার মনে হয় সব থেকে প্রতিযোগিতামূলক, যেটা আমরা বাংলাদেশে খেলি। সম্ভবত এই কারণেই আজ এই জায়গায় ফলাফলটা আসে। আর যে জায়গায় ফলাফল আসে, সেই জায়গার পরিবেশটা একটু ভিন্ন থাকে।’