গায়ানায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারকুটে ব্যাটিং করলেন কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরান। দুজনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগারদের বিপক্ষে জয়টা এসেছে ১০ বল হাতে রেখেই।
এ জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে ছিনিয়ে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরান ৭৪ রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস খেলে বনে গেছেন ম্যাচসেরা। ৫৫ যোগ করেন ওপেনার কাইল মেয়ার্স। দুজনের জোড়া ফিফটিতে ১৮.২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
দুটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন।
ব্যাট হাতে ঝলক দেখান লিটন দাস। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় টাইগাররা।
৫০ রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। তবে এক রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় লিটন দাস। ৪৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন এ ওপেনার। ২২ রান এনে দেন ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন হেইডেন ওয়ালশ। একটি করে উইকেট পান রোমারিও শেফার্ড ও ওডিন স্মিথ।
তার আগে টস ভাগ্য সহায় হয় বাংলাদেশের। সেটা তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশে বদল আনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। একাদশ থেকে ছিটকে যান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বদলি হিসেবে দলে জায়গা করে নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশেও এসেছে একট বদল। জায়গা হারিয়েছেন কিমো পল। তার পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন ডোমিনিক ড্র্যাকস।