সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন। ছিনিয়ে নিলেন দাপুটে এক ফিফটি। কিন্তু তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৫ রানে হারল টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যটা যে ছোঁয়া হয়নি সফরকারীদের।
এ জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ পণ্ড হয়েছে বৃষ্টির কারণে।
ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব। পেলেন হার নামা দারুণ ফিফটি। ৫২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজান ৬৮* রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। তার সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন ১৫ ও ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এনে দেন ১১ রান। এতেই ৬ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৮ রানে।
ক্যারিবিয়ানদের মেরুনরঙা জার্সি গায়ে দুটি করে উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড ও ওবেড ম্যাককয়। একটি করে উইকেট পান ওডিন স্মিথ ও আকিল হোসেইন।
তার আগে টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন ব্র্যান্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েল। দুজনেই পেয়েছেন দুরন্ত দুটি হাফ-সেঞ্চুরি। তাদের ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের পুঁজি গড়ে ক্যারিবিয়ানরা।
ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংয়ের ব্যাট থেকে ৪৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় আসে ৫৭ রান। ম্যাচসেরা রভম্যান পাওয়েল খেলেন ৬১* রানের হার না মানা চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। ২৮ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজান তিনি ২ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায়। আর ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরান দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সেভাবে কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট পান সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস ভাগ্যটা সহায় হয়নি বাংলাদেশের। এ ম্যাচেও টস জিতে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরান। টস জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।