আগের চেয়ে পুরোই বদলে গেছেন লিটন দাস। মাঠে নামলে নিয়মিত হাসছে তার ব্যাট। বইয়ে দিচ্ছেন রানের বন্যা। শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ঢাকা টেস্টেও খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
অথচ কয়েক মাস আগেও ব্যাটিং অফ ফর্মের জন্য কত কটু কথাই না শুনতে হতো লিটনকে। হঠাৎ এত পরিবর্তন হলো কি করে? এমন দাপুটে সাফল্যের রহস্যটা কি? সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটা উঠতেই সাফল্যের নেপথ্যের কাহিনী গোপনই রাখলেন লিটন।
লিটন কেবল অনুশীলনে পরিবর্তন আনার বিষয়টাই বললেন। বাকিটা রাখলেন লুকিয়ে, ‘আপনারা এটা ভালো বলতে পারবেন। আমার কাছে মনে হয় আমি অনুশীলন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছি। এটা কীভাবে বিশ্লেষণ দিব? মানে আমি কীভাবে বিশ্লেষণ করবো কি ধরণের মেথড পরিবর্তন করেছি। আপনিতো বুঝবেনও না কোন প্র্যাকটিস কেমন। আমি তো বিশ্লেষণ দিতেও পারবো না।’
মূল রহস্যটা মনের ভিতরেই রাখলেন লিটন, ‘খুবই কঠিন এ জিনিসটা (বলা)। কি কি করি না বা কি কি পরিবর্তন হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমার প্র্যাকটিস মেথড পরিবর্তন হয়েছে এটা আমি বলতে পারি, কিন্তু কি কি পরিবর্তন হয়েছে সেটা আমি বলতে পারবো না। কীভাবে সফল হচ্ছি বা কেন হচ্ছি এ জিনিসটা আমার ভেতরে থাক।’
খারাপ খেললে সমালোচনা হবেই। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এই বিষয়টি স্বাভাবিক বলেই মানেন লিটন। যে কারণে সমালোচনা এখন আর তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে কাবু করতে পারে না, ‘সমালোচনা হবেই। জীবন যেহেতু ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, ভালো খেললে আপনারা বাহবা দেবেন, জনগণ বাহবা দিবে, আবার খারাপ খেললে ঠিক উল্টোটা হবে। কারণ তারা চায় আমি পারফর্ম করি। এই জিনিসটা আমার ওপর এখন আর প্রভাব ফেলে না।’