প্রথম দিনের দাপুটে ব্যাটিং ফর্মটা দ্বিতীয় দিনেও বইয়ে নিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। দেড়শ রান পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। তবে ইনিংস থেমে যাওয়ায় মিস করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ৩৫৫ বলে ২১ বাউন্ডারিতে খেলেন হার না মানা ১৭৫* রানের দুরন্ত এক ইনিংস।
মুশফিকের সঙ্গে আগের দিন সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস অবশ্য বেশি দূর আগাতে পারেননি। ২৪৬ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৪১ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে কাসুন রাজিথার বলে কুসল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। এতে ষষ্ঠ উইকেটে ২৭২ রানে থামে মুশফিক লিটনের রেকর্ড গড়া জুটি।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিক-লিটনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৬৫ রানের পুঁজি গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মোসাদ্দেক হোসেন আবারও হতাশ করেছেন। তিন বল খেলে রাজিথার বলে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভস ধরা পড়েন এ অলরাউন্ডার। পেসার খালেদ আহমেদ ও ফিরে গেছেন কোনো রান না পেয়ে।
শেষ দিকে মুশফিককে খানিকটা সঙ্গ দিয়েছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। তারকা এ স্পিনার ৩৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৫ যোগ করেছেন তিনি দলীয় স্কোরে।
লঙ্কানদের হয়ে ২৭ ওভারে ৬২ রান করে ৫ উইকেট শিকার করেন কাসুন রাজিথা। ২৬ ওভারে ৯৩ রান নিয়ে ৪ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো।
তার আগে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিক প্রথম দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। ১৩৫ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে অবিচ্ছেদ্য থেকে যান লিটন দাস।