শুরুতেই ভয়ংকর বোলিং আক্রমণ করে বসেছিল শ্রীলঙ্কা। পেস তোপটা দাগিয়েছিলেন কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। তাতেই মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। দলীয় মাত্র ২৪ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। মিরপুর টেস্টের খেলা হয়েছে তখন মাত্র ৬.৫ ওভার।
দলের সেই মহাবিপর্যয়ের সময় ক্রীড়া অনুরাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের সঙ্গে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তখনকার অনুভূতি কেমন ছিল? জবাবে পাপন বলেন, ‘৫ উইকেট পড়ার পর আমি ছিলাম না। থাকলে হয়তো হার্ট অ্যাটাক করতাম। তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম। উনি বলল কি অবস্থা খেলার, আমি বললাম আপা আমি এখনো দেখিনি, গিয়ে দেখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হেলিকপ্টার যোগে মাঠে আসেন পাপন-বার্কলে। তার আগেই মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটিং দাপটে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দুইজনেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছেন। লিটন ও মুশকিককে অভিনন্দন জানিয়ে বোর্ড প্রধানকে খুদে বার্তা পাঠান শেখ হাসিনা।
পাপন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বার্কলে চমকে গেছে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট এতটা ভালোবাসে। এমনকি যখন আমরা হেলিকপ্টারে ছিলাম। লিটন যেই মুহূর্তে সেঞ্চুরি করল, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার্তা পাঠিয়েছেন, লিটনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি তো দেখতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ আগেরবার লিটন অল্পের জন্য মিস করেছে। তাই দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম।’
পাপন যোগ করেন, ‘এরপর আপার (শেখ হাসিনা) দ্বিতীয় বার্তা দেখলাম, মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপরও তিনি অনেক বার্তা পাঠিয়েছেন। তো দেখেন, এটা বার্কলের জন্যও একটা অভিজ্ঞতা। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’