অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় দিন শেষে অপরাজিত রইলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুজনে মিলে গড়লেন দারুণ এক রেকর্ড। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে এই প্রথম দুইশ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন তারা। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পি সারা ওভারে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ১৯১ রানের রেকর্ড জুটির অংশীদার ছিলেন মুশফিক। মিরপুরের এ ম্যাচে লিটনকে সঙ্গী করে সেই রেকর্ডটা ভাঙলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। তাতে করে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে রান পাহাড়ের দিকে।
প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার চট্টগ্রামে। তবে মিরপুরে আর সে ভুল হয়নি। এবার ঠিকই শতক ছিনিয়ে নিয়েছেন এ তারকা ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। ২২১ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৩৫* রান নিয়ে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লিটন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি এবং ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ২৫২ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১১৫* রানে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
শুরুতেই ভয়ংকর বোলিং আক্রমণ করে বসেছিল শ্রীলঙ্কা। পেস তোপটা দাগান কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। তাতেই মহাবিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। দলীয় মাত্র ২৪ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। মিরপুর টেস্টের খেলা হয়েছে তখন মাত্র ৬.৫ ওভার।
উদ্বোধনী জুটি কোনো রানই যোগ করতে পারেনি দলীয় স্কোরে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় দুজনেই ফিরেছেন শূন্য রানে। ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক এবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। তার কল্যাণে দল পেয়েছে মাত্র ৯ রান। ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৮ রান। সাকিব আল হাসান বিদায় নেন শূন্য হাতে।
চরম বিপদের দলের ব্যাটিং লাইনআপের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। প্রথম টেস্টের মতো দুজনে মিলে লঙ্কান বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে গড়ে তুলেছেন তীব্র প্রতিরোধ।
মুশফিক ও লিটন মিলে ব্যাটিং লড়াইটা বেশ ভালোই চালিয়ে যাচ্ছেন। এগিয়ে নিচ্ছেন সামনের দিকে তথা বড় ইনিংসের পথে। ষষ্ঠ উইকেটে এরমধ্যে ৪৬৯ বলে রেকর্ড ২৫৩* রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন।
প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২৭৭ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেছেন কাসুন রাজিথা। দুটি উইকেট পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো।