দল থেকে বাদ পড়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেঁসে গেছেন আবু জায়েদ রাহী। হঠাৎ করেই বিতর্কের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন তরুণ এ ক্রিকেটার। এই ইস্যুটি উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডাক পাননি ডানহাতি এ পেসার। যে কারণে হতাশ রাহী এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার লবিং নেই বলেই দল থেকে ছিটকে গেছেন। এরপর আলোচনা শুরু হয়েছে চারিদিকে। টিম ম্যানেজম্যান্ট আর বিসিবি’র পরিচালকরা ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না। রাহীকে শোকজ করেছে বোর্ড।
তবে রাহীর অভিযোগ মানতে পারছেন না সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার মতে, দলে টিকে থাকতে হলে পারফরম্যান্স করে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
মাশরাফি বলেন মাঠের লড়াইয়ে ক্রিকেটারদের নিজেকে প্রমাণ করতে হবে, ‘বাংলাদেশ দলে এখন ফাস্ট বোলিংয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিশেষ করে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখন টেস্টে তাসকিন, এবাদত ভালো খেলছে। শরিফুল সব ফরম্যাটে ভালো বোলিং করছে। এখন বাইরে নিজেকে উন্মোচন না করে মাঠে উন্মোচন করা উচিত।’
মাশরাফির মতে, লবিং করে দলে জায়গা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ‘জাতীয় দলে লবিংয়ের কোনো সুযোগ নেই। এখানে পারফর্ম করলে খেলবেন, পারফর্ম না করলে খেলবেন না। আপনাকে এখানে শতভাগ পেশাদার হতে হবে। আপনাকে পারফর্ম করতে হবে। সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে। যেটা রাহির যাচ্ছে। এত আলোচনা না করে আমি আশাবাদী, সে (ফেরার) উপায় খুঁজে বের করবে।’
তাসকিন আহমদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনরা পেস আক্রমণে দাপট দেখিয়ে চলেছেন। যে কারণে রাহী পড়েছেন বাদ। মাশরাফি দিলেন তেমন ব্যাখ্যাই, ‘অবশ্যই সে ভালো বোলার। তার একটা জিনিস ভালো লাগে, সে কখনো হাল ছাড়েনি। এখন তাসকিন, এবাদত ভালো বোলিং করছে। যেটা হয় আর কী, রুবেল (হোসেন) কিন্তু নিউজিল্যান্ডে খুব ভালো বোলিং করে এসেছে, সর্বশেষ সে বাংলাদেশের হয়ে যে ওয়ানডে খেলে এসেছে। ওই বোলিংয়ের পর রুবেলকে বাদ দেওয়ার সুযোগই নেই। কিন্তু ওর চেয়ে বেটার বোলিং করছে অন্যরা। এ কারণেই এটা হয়েছে। এটা একটা খেলোয়াড়ের জন্য হতাশার।’