বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন তাইজুল ইসলাম আর খালেদ আহমেদ। দুজনের দুরন্ত বোলিংয়ের পরও রানের পাহাড় গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চমৎকার ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। উইয়ান মুল্ডার ও ডুয়ান্নে অলিভারের আগুনে বোলিংয়ে ফলো-অনের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩৯ রান সংগ্রহ করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ব্যাটিংয়ের শুরুটাই ভালো হয়নি টাইগারদের। দলীয় তিন হারে তারা হারিয়ে ফেলে তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট। ব্যক্তিগত শূন্য রানে তাকে ফেরান উইয়ান মুল্ডার। তবে দেশসেরা ওপেনার দেন লড়াই চালিয়ে যাওয়া আভাস। ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা দেখালে ফিফটি ছোঁয়া হয়নি তামিমের। তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তারকা এ ওপেনারকে।
জয়ের বিদায়ের পর ওয়ানডাউনে নেমে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে লিখেন ৭৯ রানের (১২০ বলে) দারুণ এক পার্টনারশিপ। তবে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ৩০* রান নিয়ে বিপদে থাকা সফরকারীদের হয়ে ব্যাটিং লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ইয়াসির আলী (৮*)। তার আগে ১১ নিয়ে ফেরেন লিটন দাস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে উইয়ান মুল্ডার ১৫ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। ১৭ রানে ২ উইকেট নেন ডুয়ান্নে অলিভার।
প্রথম দিনের শেষ দিকে বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল টাইগাররা। স্বাগতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল অতিথিরা। স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল ক্যাপ্টেন মুমিনুলের বাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ফের ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে দুরন্ত এক ফিফটির দেখা পেয়েছেন কেশব মহারাজ। ৯৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৪ রান নিয়ে এখনো ব্যাটিং করে যাচ্ছেন প্রোটিয়া এ তারকা ক্রিকেটার। প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে রানের পাহাড় গড়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৫৩ রান।
পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জস পার্কে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু করে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইন ২২ রানের বেশি তুলতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে দেন খালেদ আহমেদ। তার আগের দিনের সঙ্গী উইয়ান মুল্ডার দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৩ রান। শেষ দিকে সাইমন হার্মার ২৯ ও লিজাড উইলিয়ামস ১৩ রান এনে দেন।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনে সফল বোলার দুজনই- তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। স্পিন ভেলকিতে তাইজুল ১৩৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিলে তরুণ পেসার খালেদ ১০০ রান দিয়ে উইকেট পান ৩টি। বাকি উইকেটটি গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের পকেটে।