বাংলাদেশের বোলিংটা ছিল দারুণ। রিতু মনি আর নাহিদা আক্তারের বোলিং দাপটে প্রতিপক্ষ ভারত বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। কিন্তু ব্যাটিংটা হলো যাচ্ছে তাই। এলোমেলো আর ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে ভারতের কাছে ১১০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানল দেশের মেয়েরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জেতা ম্যাচটা হাতছাড়া হয়। ক্যারিবিয়ান কন্যাদের কাছে ৪ রানে হার মানে দেশের মেয়েরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর নিগার সুলতানারা এ নিয়ে হারল টানা দুই ম্যাচ।
লক্ষ্যটা ছিল হাতের নাগালে। টার্গেট ছোঁয়ার পণ করেই মাঠে নেমেছিল নিগার সুলতানার দল। কিন্তু ভারত কোনোমতে লড়াকু পুঁজি গড়লেও তাদের বোলিংটা আগুনে। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হলো বাঘিনীরা। ৪০.৩ ওভারে ১১৯ রানে থেমে যায় সালমা-জাহানারারা।
বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়া করতে নামতেই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বোলিং শুরু করে ভারতীয়রা। স্নেহ রানা, ঝুলন গোস্বামী ও পূজা বস্ত্রকারের দুর্বার বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাসের ঘরের মতো ধসে পড়তে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। টপ-অর্ডার তো পুরোই ব্যর্থ। ধস সামাল দিতে কেউ দাঁড়িতেই পারেননি। দলীয় ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কোনোমতে ১০০ রানের আগে অলআউট হওয়ার লজ্জা এড়ালেও স্কোরটা তেমন বড় হয়নি। ৪০.৩ খেলেও সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানেই থামে তাদের ব্যাটিং অভিযান।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩২ রান তোলেন সালমা খাতুন। ২৪ রান আসে লতা মন্ডলের ব্যাট থেকে। ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ১৯ ও রিতু মনি যোগ করেন ১৬ রান। ১১* রানে অপরাজিত থেকে যান জাহানারা আলম। ভারতের জার্সি গায়ে স্নেহ রানা একাই নেন ৪ উইকেট। ঝুলন গোস্বামী ও পূজা বস্ত্রকার দুটি করে উইকেট পান।
লড়াইটা ভারতের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। তবে বাংলাদেশ বল হাতে লড়াই করল দাপটের সঙ্গে। রিতু মনি ও নাহিদা আক্তারের দুরন্ত বোলিংয়ে অল্পতেই আটকে যায় ভারত। ম্যাচসেরা ইয়াসটিকা ভাটিয়ার ফিফটির পরও শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্যাপ্টেন মিতালি রাজের দল।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস জিতে ভারতের মেয়েদের শুরুটা ছিল দারুণ। ৪ উইকেটে ১০৮ রান আর ৫ উইকেটে ১৬২ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু পরে তাদের দলীয় স্কোর বেশিদূর আগায়নি। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের পুঁজি গড়ে ভারত।
ইয়াসটিকা ভাটিয়া ৮০ বলে ২ বাউন্ডারিতে খেলেন ৫০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে ফিফটি মিস করেন শেফালি ভার্মা। ৪২ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় শেফালি ৪২ রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে।
ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও পূজা বস্ত্রকার সমান ৩০ রান করে তোলেন। পূজা অবশ্য অপরাজিত থেকে যান। সঙ্গে স্নেহ রানা ২৭ ও রিচা ঘোষ ২৬ রান এনে দেন।
বাংলাদেশের হয়ে রিতু মনি শিকার করেন তিন উইকেট দুটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। একটি উইকেট পান জাহানারা আলম।