সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। কিন্তু লক্ষ্যটা পূরণ হলো না। উল্টো আফগানদের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার মানল দেশের ছেলেরা। ১৪ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ এ সমতায় ফিরল অতিথিরা।
ব্যাটিংটা ভালো না হলেও বল হাতে দুরন্ত শুরুর আভাস দিয়েছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান। আফগানদের দলীয় রান তখন মাত্র ৪। তবে পরে বল হাতে ধারটা ধরে রাখতে না পারায় ধীরে ধীরে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় টাইগারদের।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৯ (৮২ বলে) রানের অসাধারণ এক পার্টনারশিপ গড়ে আফগানদের জয়ের ভিত গড়ে দেন হজরতুল্লাহ জাজাই ও উসমান ঘানি। ওপেনার জাজাই ৪৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৫৯* রানের হার না মানা চমৎকার এক ইনিংস। উসমান ঘানিকে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করে সাজঘরে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেরার আগে ওয়ানডাউনে নামা উসমান ৪৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় উপহার দেন ৪৭ রানের দারুণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
উসমান ফেরার পর জাজাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন দরবেশ রসুলী (৯*)। ২ উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারে লক্ষ্য টপকে ১২১ রান তুলে ফেলে সফরকারী আফগানরা। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তার আগে মাঠের লড়াইয়ে ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা আজ মোটেই ভালো হয়নি টাইগারদের। ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে অল্পতেই গুটিয়ে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মিরপুরের সবুজাভ উইকেটে আফগানদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে কোনোমতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১১৫ রান।
স্বাগতিকদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। তবে ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি রাঙাতে পারলেন না। হাফ-সেঞ্চুরিও হাঁকাতে পারেননি। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩০ রানের ছোট্ট কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ২১ রান আসে ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। সমান ১৩ রান করে যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস।
টস হেরে মাঠে নেমেই দুরন্ত বোলিং শুরু করে আফগানিস্তান। পেস বোলিংয়ে ঝড় তোলেন ফজলহক ফারুকী ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। বাংলাদেশের দলীয় ৪৫ রানে অতিথিরা তুলে নেয় ৪ উইকেট। পরে টাইগাররা ৯৯ রানের স্কোর ছুঁতেই খুইয়ে ফেলে তারা আরও দুটি উইকেট। শেষ দিকে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ দলের ব্যাটিং লাইন-আপের হাল না ধরলে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যেতে পারতো দেশের ছেলেরা। দলকে ব্যাটিং ধসের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৩১ বলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি।
আফগানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন সিরিজসেরা ফজলহক ফারুকী ও ম্যাচসেরা আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান।