দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্বার এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়ে দিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের জয়ের ভিত। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে লিখেছিলেন রেকর্ড পার্টনারশিপের গল্প।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করলেন লিটন। সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও পারলেন না। কাছাকাছি গিয়ে থামতে হলো তাকে। তবে তারকা এ ওপেনার আদায় করে নিলেন দাপুটে এক হাফ-সেঞ্চুরি।
লিটনের ব্যাট থেকে রান এলেও দলের অন্য কোনো ব্যাটসম্যান সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ফলে দলের সংগ্রহটাও ভালো হয়নি। রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর বোলিং দাপটে পুরো ৫০ ওভারও ব্যাটিং করতে পারেনি তামিম ইকবালের দল। যে কারণে ৪৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের পুঁজি এসে দাঁড়িয়েছে ১৯২ রান।
লিটন ১১৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে খেলেন ৮৬ রানের চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। লিটনের বাইরে যা একটু হাসির ঝিলিক দিয়েছে কেবল সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতের ব্যাট। তাদের ব্যাট থেকে খুব বড় ইনিংস আসেনি ঠিকই। তবে তাদের ছোট্ট কার্যকরী ইনিংসে সংগ্রহটা বড় হয়েছে। নিলে লজ্জায় ডুবতে হতো।
সাকিবের ব্যাট থেকে ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩০ রান। ৫৩ বলে ২৯* রানে অপরাজিত থেকে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবার আগে তামিম ইকবাল সাজঘরে ফেরেন ১১ রান নিয়ে। বাকি ব্যাটসম্যানরা থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটের ঘরে আটকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন রশিদ খান। দুটি নেন মোহাম্মদ নবী। একটি করে উইকেট নেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ও ফজলহক ফারুকী।