ফজলহক ফারুকীর বিধ্বংসী বোলিংয়ে দলীয় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ (৮১*) ও আফিফ হোসেন (৯৩*) ১৭৪* রানের (২২৫ বলে) হার না মানা রেকর্ড গড়া জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। তাই তো ম্যাচ শেষে জয়ের দুই নায়কের স্তুতি গাইলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ‘দুজন যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে গেল, কোনো ঝুঁকি না নিয়ে। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ওদের দেখে মনে হয়নি নার্ভাস। যেসব শট খেলছিল, সত্যিই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে যত সময় যাচ্ছিল, বিশ্বাসটা জোরালো হচ্ছিল, ওরা থাকলে জেতা যাবে। অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আফিফ-মেহেদী।’
মিরাজ ও আফিফের দুর্বার পার্টনারশিপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী পাপন, ‘যে পরিস্থিতিতে আমরা পড়েছিলাম, এটাকে সামাল দেওয়ার মতো সাহস ও জয়ের দৃঢ়তা আমাদের দুই ইয়াং স্টার যেভাবে দেখিয়েছে, তা অসাধারণ। তাই আমি মনে করি, আমাদের নতুন প্রজন্মের যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্য ভালো খবর। আমাদের ভবিষ্যৎ অতটা খারাপ না, যতটা ভেবেছিলাম।’
হারের দুয়ারে পৌঁছে গিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে দেশের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট অনুরাগীদের মতো শুরুতে জয়ের আত্মবিশ্বাসই হারিয়ে ফেলেছিলেন বোর্ড প্রধান নিজেও, ‘সত্যিকার অর্থে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। আমরা সবাই বলছিলাম, যদি ৫০ ওভার খেলতে পারি, তাহলে জিতব। এরপর আমি বললাম, এ দুজন (আফিফ-মিরাজ) যদি খেলে যেতে পারে, তাহলে জেতার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু মনে হচ্ছিল, এটাও প্রায় অসম্ভব। কারণ, যেভাবে আমাদের প্রথম ৬টা উইকেট গেল, মনে হচ্ছিল, ওদের বল খেলা সম্ভবই না। খেলার অযোগ্য।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে এখন বাংলাদেশ। সিরিজ জেতার জন্য ঠান্ডা মাথায় খেলার টিপস দিয়েছেন বিসিবি প্রধান, ‘আমি বারবার একটা কথা বলেছি, যত দিক দিয়ে বিচার করেন না কেন, আমাদের দলটা বেশি ভালো। আমাদের খেলোয়াড়েরা র্যাঙ্কিং-অভিজ্ঞতা—সব দিক দিয়ে এগিয়ে। আমদের দেশে মাটিতে আমরা যদি ওদের সঙ্গে সাহস করে না খেলি, বেশি চিন্তা করি, তাহলেই ঝামেলা। তাই খেলোয়াড়েরা যদি ঠান্ডা মাথায় খেলে, তাহলে সহজেই আমরা সিরিজ জিততে পারি।’