বল হাতে বিপিএলের শুরু থেকেই স্পিন জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তবে একটু দেরিতে হলেও তার হাতের ব্যাটটা হেসেছে অবশেষে। দলের প্রয়োজনে। তাই ব্যাট-বলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। দুরন্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে তার সুযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব ফরচুন বরিশালকে নিয়ে গেছে ফাইনালে।
তাই তো আজকের ফাইনালেও বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের ওপরই ভরসা রাখছে বরিশাল। তার অধিনায়কত্বেই বিপিএলে প্রথম শিরোপার স্বাদ নিতে চায় দলটি। কারণও বাতলে দিলেন সতীর্থ নুরুল হাসান সোহান। তার মতে সাকিব যেন একজনের নয়, দুই-তিন জনের কাজ করে দিচ্ছেন।
পেটের পীড়ার জন্য গতকাল ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব ফাইনালের আগে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে আসতে পারেননি। এখানে সাকিবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন কিপার-ব্যাটসম্যান সোহান। তবে গুঞ্জন রটেছে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে ঠিকই ছিলেন সাকিব। তাই জৈব সুরক্ষা বলয়ে তার থাকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে বিসিবি ও তার দল ফরচুন বরিশাল অবশ্য এ অভিযোগটি নাকচ করে দিয়েছে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের প্রশংসায় ভাসালেন বরিশালের প্রতিনিধি সোহান, ‘সত্যি বলতে সাকিব ভাই খুব ভালো ফর্মে আছেন। একাই উনি দুই-তিন জনের কাজ করে দিচ্ছেন। যেটা আমাদের দলের জন্য দারুণ কাজে লাগছে।’
সাকিব ১০ ইনিংসে তিন ফিফটিতে ২৭৭ রান উপহার দিয়েছেন বরিশালকে। তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ অপরাজিত ৫১*। তার স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৭৮। বল হাতে শিকার করেছেন ১৩.৬৩ গড়ে ১৫ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেছেন মাত্র ৫.১৩ রান। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারী ১০ বোলারের মাঝে তারই ইকোনমি শুধু ছয়ের নিচে।
জাতীয় দলে এক সঙ্গে খেলায় সাকিবকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ইমরুল কায়েস। চেনা সতীর্থের সঙ্গে শিরোপা জেতার লড়াইটা উপভোগ করতে চান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক , ‘সাকিব তো বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেছে, ওর অভিজ্ঞতা আরও বেশি। ও মাঠের ভেতরে অনেক ‘প্রো-অ্যাক্টিভ’ থাকে, আমিও চেষ্টা করছি, যেহেতু এটা আমার বিপিএলে তৃতীয়বার অধিনায়কত্ব।’
ফটোসেশনে সাকিব ছিলেন না। তাই খানিকটা মন খারাপ ইমরুলের। তবে আজকের ফাইনালে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে মাঠে দেখতে চান তিনি, ‘সাকিব এলে আরেকটু ভালো লাগতো। জিনিসটা ভালো হতো কারণ সে একটা দলের অধিনায়ক। যেহেতু তার স্বাস্থ্যগত ইস্যু, আজকে (গতকাল) শুনলাম তার পেটের পীড়া, তাই আসতে পারেনি। অসুবিধা নাই, কালকের (আজ) ম্যাচে তো আমাদের দুজনের দেখা হবে আবার।’