সুযোগটা অবশ্য আগেই এসেছিল। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে সুযোগটা আর মিস করেনি দলটি। সুনীল নারিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে দাপুটে এক জয় পেল ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েসের দল। ৪৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দুরন্ত জয়ে বিপিএলের ফাইনালে নাম লেখল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা লড়বে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরু ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের ওপর ভর করে ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
চট্টগ্রামের হয়ে ৩৮ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মিরাজ। সঙ্গে দলীয় স্কোরে ৩৩ রান যোগ করেন আকবর আলী। ওপেনার জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। কুমিল্লার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম ও মঈন আলী।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন ম্যাচসেরা সুনীল নারিন। ১৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় ৫৭ রানের অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান এ অলরাউন্ডার। বনে যান বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির মালিক।
তার সঙ্গে ইমরুল কায়েস এনে দেন ২২ রান। আর সমান ৩০* রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফাফ ডু প্লেসিস ও মঈন আলী। ১২.৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ১৪৯ রানের স্কোরটা ছুঁয়ে ফেলে দুরন্ত কুমিল্লা।
চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও বেনি হাওয়েল।