দিনের প্রথম ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান সাকিব আল হাসান। ম্যাচসেরার পুরস্কারের সঙ্গে দল ফরচুন বরিশালকে জয় উপহার দেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট-বল হাতে জাদু দেখান সৌম্য সরকার। দুরন্ত এক ফিফটির সঙ্গে নেন দুটি উইকেট। তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিফটি হাঁকান মুশফিকুর রহিম। দুজনের ঝলকে খুলনা টাইগার্স জিতেছে ১৫ রানে।
টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে খুলনা টাইগার্স।
৬২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৮২* রানের হার মানা দুরন্ত এক ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৬২* রানে অপরাজিত থেকে যান মুশফিক। ৮৪ বলে ১৩১* রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে যায় সৌম্য-মুশফিক জুটি।
সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী ও একেএস স্বাধীন।
পাহাড়সম লক্ষ্য ছোঁয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি সিলেট সানরাইজার্সের। ৬ উইকেটে ১৬৭ রানে গুটিয়ে গেছে তাদের ব্যাটিং লড়াই। দলীয় স্কোরে এনামুল হক ৪৭, মোসাদ্দেক হোসেন ৩৯ ও কলিন ইনগ্রাম ৩৭ রান যোগ করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন বটে।
শেষ দিকে ৭ বলে ২৫* রানের ঝড়ো অপরাজিত থেকে যান আলাউদ্দিন বাবু। তার শেষ চেষ্টাও কাজে দেয়নি। শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বীর প্রথম তিন বলে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়েও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি বাবু।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার ও থিসারা পেরেরা।