অজেয় থেকেই বিপিএলে এগিয়ে যাচ্ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মাঝে ছেদ পড়ে তাদের জয় যাত্রায়। গত ম্যাচেই মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার কাছে হেরে বসে তারা। সেই কষ্টটা ভুলে ফের জয়ের ধারায় ফিরেছে কুমিল্লা। তবে সেটা দাপটের সঙ্গেই।
বৃষ্টি-আইনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিল ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েসের দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানের জাদুতে দুর্বার জয়টা কুমিল্লার হাতে ধরা দিল ৯ বল হাতে রেখেই।
পাঁচ ম্যাচ খেলে চার জয় আর এক হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়ে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আট ম্যাচে তিন জয় আর আর পাঁচ হারে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে পড়ে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বৃষ্টির কারণে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার উইল জ্যাকসের ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৩৭ বলে ৫৭ বলের দুরন্ত এক ঝড়ো ইনিংস খেলে জ্যাকস। সঙ্গে আফিফ হোসেন ২৭ ও শামীম হোসেন ২৬ রান এনে দেন।
কুমিল্লার জার্সিতে মুস্তাফিজ ২৭ রান খরচ করে একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। বিপিএলে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। তাছাড়া এবারের বিপিএলেও এক ম্যাচে প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারের প্রথম কৃতিত্বও পেলেন মুস্তাফিজ। একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম।
বল হাতে ম্যাচসেরা মুস্তাফিজের আগুনে বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। দুজনের ব্যাটিং ঝলকেই মাত্র এক উইকেট হারিয়েই ১৬.৩ ওভারেই ১৪৮ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৬২ বলে ৮১* রানের হার না মানা অনন্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন ইমরুল। চমৎকার ইনিংস সাজান তিনি ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায়। ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করেন লিটনও। ৩৭ বলে ৫৩ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তারকা এ ওপেনার। তার ইনিংসে ছিল ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কার মার।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ শেষে জয়ের হাসিটা তারাই হাসল।