শুরুতে ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন ক্রিস গেইল। তবে পাঁচ রানের জন্য ক্যারিবিয়ান এ বিস্ফোরক ব্যাটসমান ফিফটির দেখা না পেলেও দল পেয়ে যায় লড়াকু পুঁজি। শেষে বল হাতে আগুন ছড়ালেন মেহেদী হাসান রানা। কেড়ে নিলেন চার উইকেট। তাতেই দাপুটে এক জয় পেল ফরচুন বরিশাল। খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে দিল ১৭ রানে।
মিরপুরে ঢাকা পর্ব বরিশাল শেষ করেছিল হার দিয়ে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরেছিল তারা ৬৩ রানে। এবার চট্টগাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়েই জয়ে ফিরল সাকিব বাহিনী। আর স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করা খুলনা ফিরে গেল হারের পথে। চার ম্যাচ খেলে দুটি করে জয় আর হার দিয়ে খুলনা ও বরিশালের সংগ্রহ এখন সমান চার পয়েন্ট।
টস হেরে আগে ব্যাট হাতে নেমে দুরন্ত ব্যাটিং করেন গেইল। ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা এ ব্যাটার এনে দেন ৪৫ রানের চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর নাজমুল হোসেন শান্ত দলীয় স্কোরে যোগ করেন ১৯ রান। ত্রয়ীর ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের স্কোর গড়ার অনিন্দ্য গল্প লেখে বরিশাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের জার্সি গায়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন কামরুল ইসলাম, থিসারা পেরেরা ও ফরহাদ রেজা। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান, শরিফুল্লাহ ও সেকেুগে প্রসন্ন।
জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি খুলনার। তবে মাঝে ব্যাট হাতে ঝলক দেখান মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গী হন ইয়াসির আলী (২৩) ও থিসারা পেরেরা (১৯)। দলকে নিয়ে যান জয়ের কাছাকাছি। কিন্তু শেষ দিকে বিধ্বংসী বোলিংয়ে খুলনাকে জয় বঞ্চিত করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মেহেদী হাসান রানা। ১৯ ওভারেই মুশফিকের দল গুটিয়ে যায় ১২৪ রানে।
তার আগে মেহেদী হাসান ১৭ ও রনি তালুকদার ১৪ রান এনে দেন। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৭ রানের খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। সঙ্গে দুটি করে উইকেট নেন মুজিব-উর-রহমান ও জ্যাক লিনটট।