তামিম ইকবাল ছোট বেলা থেকেই দুটি স্বপ্ন দেখতেন। এক বাংলাদেশের হয়ে খেলা। অন্যটি দেশের হয়ে টেস্ট খেলা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেলায় দেশসেরা এ ওপেনার আগামী ছয় মাস ব্যস্ত থাকবেন ওয়ানডে ও টেস্টে ক্রিকেট নিয়ে।
অন্যরা যখন ওয়ানডে ও টেস্ট বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে মনোনিবেশ করেন। তামিম হাঁটছেন ঠিক তার উল্টো পথে। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট খেলার ওপর জোর দিয়ে তামিম বলেন, ‘অনেক ক্রিকেটারই টি-টোয়েন্টি আগে ছেড়েছেন। বড় বড় ক্রিকেটাররাও এমন করেছেন। ওয়ানডে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাট, আমিও খুব উপভোগ করি। টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা ফরম্যাট- যখন থেকে ক্রিকেটের ব্যাট ধরা শুরু করেছি। তখন দুইটা ইচ্ছে ছিল- এক হচ্ছে বাংলাদেশের হয়ে খেলব, দুই টেস্ট খেলব।’
১৫ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইগারদের উইকেটের এক প্রান্ত এখনো আগলে আছেন তামিম। অন্য প্রান্তে কেউ থিতু হতে পারছেন না। ফর্ম আর ফিটনেস থাকলে আরও চার-পাঁচ বছর ক্রিকেট খেলে যেতে চান বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে খেলে যেতে চান লাল বলের টেস্ট, ‘আমরা হয়তো এই ফরম্যাটে খুব শক্তিশালী দল না। কিন্তু এখানে একটা সেঞ্চুরি বা ফিফটি করার মূল্যটা অন্যরকম। টেস্ট আমি যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই। আমার বয়স ৩৩। ৩৪-৩৫ এ অনেকের অভিষেক হয়। তারা আরও পাঁচ বছর খেলে। আমার এখনও চার-পাঁচ বছর আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। আমার পারফরম্যান্স ও ফিটনেস ঠিক থাকলে আরও চার পাঁচ-বছর খেলব।’
তরুণদের বেশি বেশি সুযোগ দেয়া উচিত। নতুনরা সুযোগ পেলে তামিমকে আর দলে দরকারই পড়বে না। এমনটাই বিশ্বাস করেন এ স্টার ক্রিকেটার, ‘তরুণদেরও যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া দরকার। এক-দুই সিরিজে আস্থা হারালে সেটা ভুল। ছয় মাস পর আমি ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত আমার আর দরকার হবে না। তারপরও বললাম বিশ্বকাপের আগে বোর্ড বা আমি মনে করলে ফিরব। তবে এই মুহূর্তে এটা নিয়ে ভাবছি না।’