আইসিসি কমনওয়েলথ গেমস বাছাইপর্বের দলে জায়গা হয়নি জাহানারা আলমের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত ১৫ সদস্যের দল থেকে ছিটকে গেছেন তারকা এ অলরাউন্ডার। শোনা যাচ্ছে, আচরণ বিধি ভাঙার জন্য জাহানারা মূল দলে ডাক পাননি। জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে গিয়ে কোচ, সতীর্থদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেছিলেন। শাস্তি হিসেবে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে এ তারকা ক্রিকেটারকে।
দল থেকে বাদ পড়ে ক্ষুব্ধ জাহানারা উল্টো অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি’তে। এনিয়ে দেশের নারী ক্রিকেটাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তাপ। চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও বোর্ড বিস্তারিত কিছু জানায়নি। বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, জাহানারার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের দেয়া চিঠি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বোর্ড।
বিসিবি’র সূত্র বলছে, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে বিসিবি’কে দেয়া চিঠিতে জাহানারা নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম, কোচ একে এম মাহামুদুল ইমনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সঙ্গে ড্রেসিংরুমের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও তুলে ধরেছেন।
নারী ক্রিকেট বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জাহানারার চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন, ‘আমি যেটা শুনেছি সে সরাসরি সিইও’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার অভিযোগের মধ্যে ছিল- তাকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। সেটা সে তার বিবেচনায় বলেছে। সিইও বলেছেন বিষয়টি খোঁজখবর নেবেন।’
তবে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল অবশ্য জাহানারার বিরুদ্ধে বললেন। জানান, তার কাছে এমন কিছু প্রমাণ আছে যেটা দেখালে জাহানারারাই লজ্জায় পড়ে যাবেন। নাদেল বলেন, ‘আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে। আমি দেখাতে চাই না, দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন। এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নেই। আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। তারা আমাদের সন্তানতুল্য, ছোট ভাই, ছোট বোনের মতো। তাদের চলার পথে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা অভিভাবকসুলভ মনোভাব দিয়ে সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদের।’
তবে নির্বাচক মঞ্জু জাহানারার বাদ পড়ার পিছনে তার পারফরম্যান্সকে দায়ী করছেন। একই কথা বলছেন নাদেলও, ‘কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না তখন মনঃক্ষুণ্ণ হওয়াটা স্বাভাবিক। এ বিষয়টাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।’