নিজের বর্ণিল লাল-বলের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে না বলে দিয়েছেন রস টেলর। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের তারকা এ ক্রিকেটার খেললেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। তার সেই বিশেষ মুহূর্তটি আরও বর্ণিল করে তোলেন মুমিনুল হকরা। ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন টেস্টে শেষবারের মতো ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই গার্ড অব অনার দেন টাইগার ক্রিকেটাররা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়ে যারপরনাই আবেগআপ্লুত টেলর। ক্যারিয়ারে এই বিশেষ দিনটির কথা কখনোই ভুলতে পারবেন না এ কিউই স্টার ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেট কিংবদন্তি টেলরকে সম্মাননা জানাতে পারাটা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাছে বিশেষ কিছুই। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ইনিংস এবং ১১৭ রানে হারের পর কথাটা অকপটে স্বীকার করে নিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন মুমিনুল।
টেলরকে অভিবাদন জানানোর ব্যাপারটা নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন আভাস পেয়েছি চতুর্থ ও পঞ্চম দিন বৃষ্টি হতে পারে। প্রথম টেস্টেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, যেহেতু এটা রস টেলরের শেষ টেস্ট হতে যাচ্ছে তাই তাকে আমরা সম্মান জানাব। এ কারণেই গার্ড অব অনার দেওয়া, সবাই চিয়ার আপ করেছে, এটা নিয়ে সবাই খুশি। অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্যও এটা বিশেষ কিছু।’
নিউজিল্যান্ডের হয়ে কীর্তি গড়ায় টেলরকে সবাই ভালোবাসে। এখন সবাই তাকে মিস করবে। মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের বেড়ে ওঠার সময়টাতেই দেখেছি তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলছেন। আমি মনে করি তিনি নিউজিল্যান্ডের একজন কিংবদন্তি। আমরা সবসময় দেখে আসছি তার ক্যারিয়ারে সে দুর্দান্ত করেছে নিউজিল্যান্ডের হয়ে। সে যেভাবে শেষ করেছে, আমরা তাকে ভালোবাসি, আমরা তাকে মিস করবো। সবাই তাকে মিস করবে, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড। সব কিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ রস। আপনার পরবর্তী জীবনের জন্য শুভ কামনা।’
নিউজিল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে জেতায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি টেলর। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে দলীয় স্কোরে যোগ করেন মাত্র ২৮ রান। কিউইরা জয়ের সুবাস পেয়ে যাওয়ায় ভক্ত-সমর্থক ও খেলোয়াড়রা টেলরের বোলিং পারফরম্যান্স দেখতে চান। ক্যাপ্টেন টম লাথামও সুযোগও দেন। তার দেয়া সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সফলও হন টেলর। অফ স্পিন জাদুতে এবাদত হোসেনকে ফিরিয়ে দলের জয়ে সিল মোহর এঁকে দেন। ওভারের তৃতীয় বলেই পান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তৃতীয় উইকেটের দেখা।
টেলরের বোলিং করা নিয়ে কিউই অধিনায়ক লাথাম বলেন, ‘টেলরকে বোলিংয়ে আনার জন্য দর্শক, এমনকি অন্য খেলোয়াড়রাও চাপ দিচ্ছিল। তবে এখানে আম্পায়ারদেরও ভূমিকা আছে। তারা বলছিল, অন্ধকার হয়ে আসছে তাই আর পেসার দিয়ে বোলিং করানো যাবে না।’