স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা বাদে সেঞ্চুরিয়নে জয়ের ইতিহাস লিখেছে মাত্র দুটি দেশ। প্রোটিয়াদের ক্রিকেট দুর্গে ২০১৪ সালে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ২০০০ সালে জয়ের ইতিহাস গড়ে ছিল ইংল্যান্ড।
এবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সেই কীর্তিতে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভাগ বসাল ভারত। প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির ভারত। সেঞ্চুরিয়নে প্রথমবারের মতো জিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
৩০৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে শুরুটা মোটেই ভালোই হয়নি স্বাগতিকদের। ৯৪ রানে তারা হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। ক্যাপ্টেন ডিন এলগার দারুণ এক ফিফটি হাঁকালেও প্রোটিয়াদের দলীয় স্কোর দাঁড়াল ১৯১।
এলগার ১৫৬ বলে ১২ বাউন্ডারিতে খেলেন ৭৭ রানের দুরন্ত এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন। ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে যান টেম্বা বাভুমা। আর কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামি । দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মেদ সিরাজ ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
তার আগে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি (১২৩) ও ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ফিফটিতে (৬০) প্রথম ইনিংসে ৩২৭ রানের পুঁজি গড়ে ভারত। পরে মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ দেন ধসিয়ে। তাতেই স্বাগতিক প্রোটিয়ারা ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় প্রথম ইনিংসে।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেন অতিথি ভারত। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রিশব পান্ত। ফলে ১৭৪ রানেই থেমে যায় তাদের ব্যাটিং অভিযাত্রা। তবে এতেই ৩০৫ রানের লিড পায় বিরাট কোহলির দল। চারটি করে উইকেট শিকার করেন ক্যাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেন। দুটি উইকেট যায় লুঙ্গি এনগিডির পকেটে।