টানা সূচিতে ক্লান্ত ক্রিকেটাররা। তার ওপর রয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে বন্দী থাকার কষ্ট। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে কোয়ারেন্টিন যেন শেষই হচ্ছে না। কেবল বেড়েই চলেছে।
তাই ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ড থেকে সিরিজ না খেলেই ফিরতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি বিসিবি। বোর্ড সভা শেষে আজ শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
সফর বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। ক্রিকেটারদের সাফ এটাই জানিয়েছেন পাপন, 'আমরা ওদের কোনো বিরতি বা বিশ্রামই দিতে পারছি না। খেলোয়াড়রা সবাই মানসিক ও শারীরিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। কয়েকজন চেয়েছিল সিরিজটি বাদ দেওয়া যায় কি না, দেশে ফিরে আসা যায় কি না। কিন্তু এটার কোনো সুযোগ নেই, কোনো সুযোগই নেই।'
টাইগারদের ব্যস্ত সূচির কথা স্বীকার করে বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর টানা খেলে যেতে হবে দেশের ছেলেদের, 'গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শুরু করে টানা খেলার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটাররা। এখন নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে তারা। এটি শেষ করে দেশে ফেরার ৪-৫ দিনের মধ্যেই বিপিএল শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা আছে। এই ব্যস্ততা চলবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।'
বিজয় দিবসে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রুম কোয়ারেন্টিনের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। জাতীয় পতাকা হাতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উদযাপন করেছিলেন বিশেষ দিনটি। তবে বৃষ্টি থাকায় হয়নি অনুশীলন। তাদের উঠার কথা ছিল টিম হোটেলে।
কিন্তু করোনা টেস্টে নেগেটিভ হয়ে নীল ব্যান্ড পেয়েও টিম হোটেলে উঠতে পারেননি তারা। নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সবাইকে ফের হলুদ ব্যান্ড পরতে হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে বন্দী থাকতে হবে সবাইকে। যে কারণে মানসিক চাপে রয়েছেন ক্রিকেটাররা।
রঙ্গনা হেরাথ যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এটা তো নিশ্চিত। কিন্তু তিনি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা সেটাই এখন জানার বাকি। সেটা হলে ঝুলে যেতে পারে সিরিজের ভাগ্য। আর সেটা হলে করণীয় কি হবে। সেটা ঠিক করতেই বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে আজ দুপুরে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে দুটি দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইতে টাইগারদের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে। ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।