সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটে। খারাপ সময়টা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অনভিজ্ঞ ও আনকোরা ক্রিকেটারদের মাঠে নামানো হচ্ছে। এই যেমন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো সাইফ হাসানের। মাহমুদুল হাসান জয় অভিষেক টেস্টেই করলেন ওপেনিং। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামানো হলো ইয়াসির আলী রাব্বিকে। কিন্তু পরের ম্যাচেই বাদ পড়লেন তিনি। দলে এতো রদবদল করেও ফলটা শূন্য। যে কারণে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নের মুখে।
এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও কত দিন চলবে? বিকেএসপি’তে এক অনুষ্ঠানে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট তিন মাসের সময় চেয়েছে। তাতে সায়ও দিয়েছেন তিনি, ‘আমি না হয় আরও এক বছর, দেড় বছর কিংবা দুই বছর আরও কয়েকজনকে খেলিয়ে গেলাম। তারপর কী হবে? আমাদের তো ভবিষ্যতের জন্য লং টার্ম পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তারা করছে, সেটার জন্য তিন মাস সময় চেয়েছে। কেউ যদি তিন মাস সময় চায় আমি না করতে পারি?’
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানালেন পাপন, ‘এই খেলোয়াড়রা কিন্তু পারফর্ম করেছে। এই বিশ্বকাপে সৌম্য, লিটন, নাঈম পারফর্ম করেনি, এ নিয়ে এত হুলুস্থুল। কিন্তু ওরা তো এতদিন পারফর্ম করেছে। এমন মনে হচ্ছে ওরা খেলাই জানে না। মুশফিক, সাকিব, রিয়াদের মতো খেলোয়াড়ও পারফর্ম করতে পারেনি। মুস্তাফিজ আমাদের সেরা বোলার, পারফর্ম করতে পারেনি। তাই বলে কি ওরা খারাপ? ওরাই আগে ভালো করেছে আর সামনেও ওরাই করবে। ওরা না করলে নতুনরা করবে। এ নিয়ে এত তাড়াতাড়ি ক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই।’
ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে সতেজ করতে মনোবিদের দ্বারস্থ হচ্ছে বিসিবি। এমনটাই জানালেন পাপন, ‘একটা দলের পারফরম্যান্স হঠাৎ করে খারাপ হতেই পারে। তাহলে কী করবেন আপনি? আপনি কি হাল ছেড়ে দেবেন নাকি এটাকে ঠিক করবেন? কারও সামর্থ্য নেই তা তো নয়। এরাই তো পারফর্ম করে দেখিয়েছে। ঠিক করতে হবে। ঠিক করতে গেলে কী করবেন বলেন? এখন ব্যাটিং খারাপ হচ্ছে। ব্যাটিংয়ের জন্য ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ করা দরকার। ধরুন সাইকোলজিক্যালি একটু ডাউন, চাঙ্গা ভাবটা নেই। এটার জন্য সাইকোলজিস্ট আনতে হবে, আগে যেমন এনেছি।’