লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম ফিফটির আভাস দিয়েও পারেননি। দুজনেই মিস করেছেন অর্ধ-শতক। তবে সাকিব আল হাসান সুযোগা হাতছাড়া করেননি। ছিনিয়ে নিয়েছেন দুরন্ত এক ফিফটি। ত্রয়ী তারকার ব্যাটিং দৃঢ়তার পর শেষ দিকে তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন ব্যাট হাতে পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি।
কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানের হার এড়াতে পারল না টাইগাররা। এক ইনিংস ও ৮ রানে হারের হতাশায় ডুবল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বৃষ্টি খেয়ে নিয়েছিল ঢাকা টেস্টের প্রায় দুই দিন। ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই ঝুকে ছিল। কিন্তু বৃষ্টি সুবিধা করে দিলেও বাংলাদেশ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। সাজিদ খান টাইগারদের প্রথম ইনিংসে স্পিন জাদুতে একাই ৮ উইকেট শিকার করে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেন। ৮৭ রানে অলআউট হওয়ার ক্ষতি শত চেষ্টা করেও আর পুষিয়ে নিতে পারেননি স্বাগতিকরা। ফলে পাকিস্তান ম্যাচ জিতে নেয় নাটকীয়ভাবে। এ জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। দুই মাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ক্যাপ্টেন বাবর আজমের দল।
সাকিব আল হাসান ১৩০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৩ রানের দুরন্ত এক ইনিংস খেলেন সাকিব। লিটন ফেরেন ৮১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৫ রান নিয়ে। আর মুশফিক আউট হন ১৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৮ রানে। এতে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৫ রান।
ফলো অনে নেমেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারল না টাইগাররা। এলোমেলো ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। হাসান আলী ও শাহীন শাহ আফ্রিদির বোলিং তোপে সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলাম (২), মাহমুদুল হাসান জয় (৬), নাজমুল হোসেন শান্ত (৬) ও মুমিনুল হক (৭)।
পাকিস্তানের হয়ে চার উইকেট নেন সাজিদ খান। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী।
বাজে ব্যাটিংয়ের পসরা অবশ্য আগের দিনই সাজিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় অন্তত ফলো অন এড়ানোর আশাই জেগে ছিল লাল-সবুজের শিবিরে। তবে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার ফেরৈন ৩৩ রান নিয়ে। যে কারণে ফলো অন এড়ানো যায়নি।
ঢাকা টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে আঘাত করেন সাজিদ খান। নেন তাইজুল ইসলামের উইকেট। পরে খালেদ আহমেদের উইকেট শিকার করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ব্যাটিং বিপর্যয় ঠেকাতে না পেরে ৮৭ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগারদের প্রথম ইনিংস। ফলে ফলো অনের লজ্জায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪২ রানে একাই ৮ উইকেট শিকার করেন স্পিনার সাজিদ খান। একটি উইকেট পান শাহীন শাহ আফ্রিদি।
তার আগে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ২৩ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন সাকিব। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন তাইজুল ইসলাম (০)।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।